কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


পশ্চিম বা রাশিয়া যা বলবে আমরা তা–ই শুনব, সেই বাস্তবতা এখন আর নেই

ড. আমেনা মহসিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে নানা মহলে আলোচনা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ও ভূরাজনীতি নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন এই আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষজ্ঞ। 

ভূরাজনীতিতে বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েছে। সেটাকে কতটা কাজ লাগানো যাচ্ছে বলে আপনি মনে করেন?

আমেনা মহসিন: ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশ অনেক বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। আজকে যে সুবিধাজনক অবস্থানের কথা বলা হচ্ছে, সেটা অবশ্য আগেও ছিল। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধাজনক জায়গা হলো, বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এর অবস্থান। ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলোর কারণেও বাংলাদেশের একটা ভালো অবস্থান আছে। ভারত বহুবার চেয়েছে বাংলাদেশ যেন উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করে। কিন্তু ভূরাজনীতির এসব সুবিধাজনক অবস্থান থেকে আমরা কতটা সুবিধা আদায় করতে পারছি, সেটাই মূল প্রশ্ন। এটা অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির উদ্দেশ্য কী, আমরা কী অর্জন করতে চাই, আমাদের দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি আছে কি না, নাকি স্বল্প মেয়াদে গেম জিততে চাইছি—এসব মৌলিক প্রশ্ন জড়িত। এর সঙ্গে অবশ্যই আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, সরকার, শাসনব্যবস্থাও জড়িত। একটা বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিত মাথায় রেখে আমরা যদি এগোতে পারি, তাহলে ভূরাজনৈতিক জায়গায় বাংলাদেশের যে সুবিধাজনক অবস্থান আছে, সেটাকে কাজে লাগানো সম্ভব।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থেকেছে বাংলাদেশ। এই সিদ্ধান্তকে কীভাবে দেখছেন?

আমেনা মহসিন: ভারসাম্যমূলক অবস্থান বলব না, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশ একধরনের কৌশলগত দূরত্ব বজায় রাখছে। বৈশ্বিক ফোরামে বাংলাদেশের যে নিজস্ব অবস্থান আছে, এটা তারই প্রকাশ। এ যুদ্ধ নিয়ে অনেক ধরনের মতামত আছে। যুদ্ধটা এখন যে রূপ ধারণ করছে, সেটা অনেকটা বৈশ্বিক যুদ্ধের দিকে চলে যাচ্ছে। এটা শুধু ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধ নয়। যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর মাধ্যমে একটা প্রক্সি যুদ্ধ করছে। সাম্প্রতিককালে উপসাগরীয় দেশগুলোর ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থানের বদল হয়েছে। যে আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের আগে সম্পর্ক ছিল না, তাদের সঙ্গেও সম্পর্ক হয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, ইন্দো-প্যাসিফিকে যদি তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে হয়, তাহলে উপসাগরীয় দেশগুলোকেও হাতে রাখতে হবে। এ কারণেই ইসরায়েলকে ব্যবহার করেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তারা একধরনের স্থিতিশীলতা আনতে চাইছে। রাশিয়ার একেবারে ঘাড়ের কাছে যদি এমন কোনো দেশ থাকে, যেটি ন্যাটোর সদস্য না হলেও ন্যাটোই তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাহলে সেটা কিন্তু রাশিয়া মেনে নেবে না।

এ যুক্তিতে কি আপনি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে ন্যায্যতা দিতেই চাইছেন?

আমেনা মহসিন: আমি যুদ্ধকে ন্যায্যতা দিতে চাইছি না। তবে এ যুদ্ধের জন্য একমাত্র রাশিয়া দায়ী, সেটা আমি মনে করি না। ওয়ারশ যখন বিলুপ্ত হয়েছিল, তখন ন্যাটোরও বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। রাশিয়া ন্যাটোর সদস্যপদ চেয়েছিল। মানছি, ন্যাটোর সদস্য হতে গেলে গণতন্ত্র থাকতে হয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হয়। কিন্তু রাশিয়াকে ন্যাটো একটা সুযোগ দিতে পারত। রাশিয়াকে অন্তত অবজারভার স্ট্যাটাস দিতে পারত, কিন্তু সেটা করা হয়নি। আমেরিকা চেয়েছে এক মেরুর বিশ্ব, যেখানে পশ্চিমের একক আধিপত্য থাকবে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অনেক ধরনের মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু আমাদের মেনে নিতে হবে যে বহু মেরুর বিশ্ব এখন একটি বাস্তবতা। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি দেখছি, দক্ষিণ বিশ্বের আওয়াজ বেশ জোরালো হচ্ছে। উত্তর বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ করছে দক্ষিণ। এই যে ভিন্ন ভিন্ন মেরু তৈরি হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ কোনো এক দিকে যেতে চাইছে না। বাংলাদেশ নিজেদের স্বার্থগুলোকে ধরে রাখতে চাইছে। কিন্তু একই সঙ্গে বাংলাদেশ যে খুব টান টান দড়ির ওপর দিয়ে যে হাঁটছে, সেটাও আমাদের মনে রাখতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন