সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার কাজ দ্বিতীয় দিনে

বিডি নিউজ ২৪ সীতাকুণ্ড প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৬

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে দ্বিতীয় দিনের মত উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।


ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া রোববার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত রাত ১১টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলেছে। আজ আবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে।”


শিল্পে ব্যবহারের জন্য অক্সিজেন উৎপাদনকারী 'সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে'র অবস্থান সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সেখানে বিকট বিস্ফোরণ ঘটে।


ওই ঘটনায় রাত পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন অন্তত ২০ জন।


ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা হামিদ মিয়া জানান, রাতে বা সকালে ভেতর থেকে নতুন কোনো মৃতদেহ কিংবা আহত কাউকে উদ্ধার করা হয়নি। কেউ নিখোঁজ থাকার তথ্যও তাদের হাতে নেই।

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যেখানে 'সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট'গড়ে তোলা হয়েছিল, সেখানে সরু সড়কের দুই পাশে ৮-১০টি স্টিল রি-রোলিং মিল, তেলের রিফাইনারিসহ বেশ কয়েকটি শিল্পকারখানার পাশাপাশি বসতবাড়িও ছিল।


ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর এলাকাটি রূপ নিয়েছে ধ্বংসস্তূপে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের কারখানা, বসতবাড়ি। সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। লোহার বেড়া আটকে রাখার অ্যাঙ্গেলগুলো পর্যন্ত বেঁকে গেছে।


প্ল্যান্ট প্রাঙ্গণে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে সিলিন্ডার, লোহার টুকরো, ভেঙেচুরে একাকার হয়ে যাওয়া তিনটি ট্রাক। কারখানা থেকে ৫০-৬০ গজ দূরে গিয়ে পড়ে রয়েছে লোহার টুকরো। শুধু তাই নয়, প্রায় ৫০০ গজ দূরে ছিটকে পড়া লোহার টুকরোর আঘাতে একজনের প্রাণহানিও হয়েছে।


ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি হামিদ মিয়া বলেন, “গত বছর বিএম ডিপোতে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয়েছিল। এখানে বিস্ফোরণের কারণে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে।"


তবে সেখানে বিস্ফোরণ কেন ঘটল, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিস্ফোরক অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন।


রোববার সকালে ওই ধ্বংসস্তূপ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বৈঠক হবে, সেখানে জানানো হবে বিস্তারিত।”

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও