বইমেলায় প্রযুক্তির বই আগের চেয়ে কম, তবে আছে বিষয়বৈচিত্র্য
১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া অমর একুশে গ্রন্থমেলার শেষ দিন আজ। বাংলা একাডেমি আয়োজিত এ মেলায় প্রতিবারের মতো এবারও বইমেলায় উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সারা বছরে প্রকাশিত বইয়ের বেশির ভাগ অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করেই বাজারে আসে। অনেক বিষয়ের পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির (আইসিটি) বইও মেলায় প্রকাশিত হয়। তবে দুই–তিন বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তির বই প্রকাশের সংখ্যাটা কম। তবে আগে যেমন বিভিন্ন সফটওয়্যারের প্রশিক্ষণমূলক বই বেশি বের হতো, এখন শুধু এতেই আটকে নেই বইগুলো। প্রোগ্রামিংয়ের বই, নতুন প্রযুক্তির বই, এমনকি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিষয় উপজীব্য করে উপন্যাসও প্রকাশিত হচ্ছে এখন।
তথ্যপ্রযুক্তির বিশেষায়িত বই প্রকাশ করে থাকে সিসটেক প্রকাশনী। সিসটেক প্রকাশনীর বিপণন ব্যবস্থাপক মো. আতিকুর রহমান জানান, গত বছরের তুলনায় এবার তথ্যপ্রযুক্তির বইয়ের বিক্রি কিছুটা কম। সিসটেক এবার মাত্র একটি তথ্যপ্রযুক্তির বই বের করেছে। গত বছরের মেলায় নতুন বইয়ের সংখ্যা ছিল পাঁচটি। এবারের বইমেলায় সিসটেক প্রকাশনী থেকে আসা মাহবুবুর রহমানের নতুন বই ‘নিজে নিজে শিখি পাইথন প্রোগ্রামিং’। এ ছাড়া মাহবুবুর রহমানের লেখা ‘ফ্রিল্যান্সার ডট কম’, ‘মাইক্রোসফট এক্সেল’, ‘সহজ ভিডিও এডিটিং’ পাঠকদের কাছে এবারও বেশ সমাদৃত হয়েছে।
দ্বিমিক প্রকাশনী থেকে আসা নতুন বই ‘জাভা প্রোগ্রামিং এক্সারসাইজ’ লিখেছেন আ ন ম বজলুর রহমান। আরও আছে ড. তানভীরুল ইসলামের লেখা বই ‘ডিজিটাল লজিক ডিজাইন’। এ ছাড়া তামিম শাহরিয়ার সুবিনের সব বই দ্বিমিক প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া গেছে। তাঁর জনপ্রিয় বইগুলোর মধ্যে আছে, ‘কম্পিউটার প্রোগ্রামিং (৩ খণ্ড)’, ‘পাইথন দিয়ে প্রোগ্রামিং শেখা (৪ খণ্ড)’, ‘প্রোগ্রামিংয়ের আশ্চর্য জগৎ’ ইত্যাদি ।
তাম্রলিপি প্রকাশনীর বইয়ের তালিকায় তথ্যপ্রযুক্তির বইও আছে। এবার প্রকাশিত হয়েছে নিয়াজ মাসুদ রাহাতের ‘ছোটদের স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং’, মোস্তাফা জব্বারের ‘ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল প্রকাশ মাধ্যম’, মুনতাসির মাহদীর ‘কপিরাইটিং দ্য ফিউচার অব কন্টেন্ট’, এনামুল হকের ‘অনলাইন বিজনেস অ্যান্ড ডিজিটাল ক্যারিয়ার’, রাকিবুল হাসানের ‘ডেটা অ্যানালিটিকস’, এহসানুল ইসলামের ‘প্রোগ্রামিং ফর বিগেনার’, জাকির হোসেইনের ‘পাইথনে ডাটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম’ ইত্যাদি।