পেঁয়াজ কাটলেই চোখে পানি আসে?
পেঁয়াজ কাটলেই কম-বেশি সবারই ঝাঁঝ চোখে গিয়ে পানি ঝরে। কিন্তু পেঁয়াজ ছাড়া বেশির ভাগ রান্নাই হয় না। তাই পেঁয়াজ ছাড়া রান্নার কথা ভাবাই যায় না। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন বার বার পেঁয়াজ কাটতে গেলেই চোখে জ্বালা করে?পেঁয়াজে সালফেনিক অ্যাসিড উপাদান রয়েছে। কাটার পর সেগুলি বেরিয়ে অন্য এনজাইমের সঙ্গে মিশে যায়। তাতেই তৈরি হয় সালফার গ্যাস। সেটাই চোখে গিয়ে চোখ জ্বালা করে পানি ঝরে।
এই একই কারণে পেঁয়াজ কাটার পরও হাতে পেঁয়াজের গন্ধ লেগে থাকে। তবে রান্না করার সময় এই এনজাইমগুলি আর কাজ করে না। তাই তখন আর চোখও জ্বালা করে না। পেঁয়াজ কাটার সময় এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন-খুব ধারালো ছুরি দিয়ে পেঁয়াজ কাটতে পারেন। অবাক লাগলেও এই পদ্ধতি কাজ করে। পেঁয়াজের কোষে কম ক্ষতি করে ধারালো ছুরি। তাই খুব বেশি এনজাইম বার হয় না। পেঁয়াজের মুখে না কি সবচেয়ে বেশি এনজাইম থাকে। তাই প্রথমেই সেগুলি কেটে বাদ দিয়ে দিন।আগুনের সামনে পেঁয়াজ কাটলে জ্বালা কম হয়। কারণ আগুনের সালফার পেঁয়াজের এনজাইমগুলি অকেজো করে দেয়।
তাই একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।রান্নাঘরে কোনও ভেন্ট বা চিমনি থাকলে তার নীচে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কাটতে পারেন। তা হলে সব গ্যাস টেনে নেবে, চোখে যাবে না। তবে চিমনি ঠিক কোন জায়গায় বসানো রয়েছে, তার উপর নির্ভর করবে এই পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে।পেঁয়াজ কাটার ১৫ মিনিট আগে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। ঠান্ডা অবস্থায় এনজাইমগুলি অত কাজ করে না। তাই চোখ জ্বালা করবে না। পেঁয়াজে মুখ কেটে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। তা হলে সালফেনিক অ্যাসিড ধুয়ে যাবে। কিন্তু এতে পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমে যেতে পারে। তবে ভিজে পেঁয়াজ কাটাও একটু মুশকিল হয়ে যেতে পারে।খোলা জায়গায় বসে পেঁয়াজ কাটতে পারেন। এতেও চোখে কম জ্বালা অনুভূত হবে।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- পেঁয়াজ
- পেঁয়াজ কাটার কৌশল