হাটহাজারীতে মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল

প্রথম আলো হাটহাজারী প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:০২

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আহমদ হোসেন চৌধুরী (৭০) নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত বুধবার উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মন্দাকিনী গ্রামের ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে গতকাল মঙ্গলবার ওই মুক্তিযোদ্ধাকে নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।


এ ঘটনায় ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে মাজেদা বেগম আজ বুধবার বিকেলে হাটহাজারী থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার আসামি নাহিদা সুলতানাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার অপর আসামিরা হলেন নাহিদা সুলতানার স্বামী লোকমান হাকিম (৪১) এবং তাঁর দুই ছেলে ইমরাজ সাকিব (২৭) ও মিশকাত হাকিম (১৭)।

স্থানীয় বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মন্দাকিনী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশী লোকমান হাকিমের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জেরে গত বুধবার সকালে  লোকমান হাকিম ও তাঁর পরিবার কয়েকজন দুর্বৃত্ত নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন চৌধুরীকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন এবং তাঁর জায়গা দখল করে দেয়াল নির্মাণ করে। স্থানীয় মাতবররা বিচারের আশ্বাস দেওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেননি। পরে গতকাল ফেসবুকে এ ঘটনার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা এবং থানা প্রশাসনের নজরে আসে।


এরপর তাৎক্ষণিকভাবে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিদুল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেন।
পলাতক থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন চৌধুরীকে নির্যাতন ও তাঁর জমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে লোকমান হাকিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আলম বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার রাতে প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউএনওর মাধ্যমে স্মারকলিপি পেশ করি। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’


হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার জায়গা দখল করে নির্মিত দেয়াল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও