কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আত্মজীবনী–বিতর্ক: প্রাইভেসিটা আর থাকল কই!

প্রথম আলো সারফুদ্দিন আহমেদ প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৩২

একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক সম্পর্কে একটা গল্প চালু আছে। পোশাকে, চেহারায় সুশীল ব্যক্তিত্বের চাদর জড়িয়ে তিনি জীবনের ৫০ বছর পার করার পর খেয়াল করে দেখলেন, সাংবাদিকতা করতে গিয়ে নিজের বিয়ের কথা ভুলে গেছেন। অবশেষে তিনি বিয়ে করলেন। সহকর্মীরা খুব করে সম্ভাষণ জানালেন। বাসররাত পার করে ভদ্রলোক পরদিন অফিসে এলেন। সহকর্মীরা জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী দাদা, বাসরঘরের ব্যাপারটা কেমন, বলেন দেখি?’


ভদ্রলোক মুখে বিরাট গাম্ভীর্য টেনে বললেন, ‘সবই ঠিক আছে বুঝলে..., কিন্তু সমস্যাটা হলো...প্রাইভেসি বলে তো আমার আর কিছু থাকল না!’
এই গল্প বলতে বলতে এক বন্ধু হাসতে হাসতে বলল, ‘আচ্ছা বল, “প্রাইভেসি”–এর বাংলা অর্থ কী?’


পাশে থাকা আমরা মুখ চাওয়াচাওয়ি করলাম। একজন বলল, ‘প্রাইভেসি মানে হলো নিজের মতো করে একটু আড়াল–আবডালে থাকার মতো অবস্থা।’ একজন বলল, ‘একটু একান্ত যাপন’; একজন বলল, ‘ইয়ে, মানে...একটা গোপনীয়তার অবস্থা।’
বন্ধুটি বলল, ‘না, আমি সোজাসাপটা বাংলা প্রতিশব্দ জানতে চাচ্ছি। “আই” মানে “আমি” “ইট” মানে “খাই” “রাইস” মানে “ভাত” টাইপের প্রতিশব্দ।’
একজন বলল, ‘নির্জনতা’; একজন বলল, ‘নিভৃতি’।


প্রশ্নকারী সবাইকে বলল, ‘এবার তোরা ভেবে বল দেখি, “প্রাইভেসি” কথাটা বললে অর্থ হিসেবে আমরা চট করে যা বুঝতে পারি, তা কি এসব বাংলা শব্দ দিয়ে বুঝতে পারি?’
সবাই না–সূচক ঘাড় নাড়লাম।


বন্ধুটি বলল, ‘এর কারণ কী, জানিস? কারণ, প্রাইভেসির চর্চা বলতে যা বোঝায়, সেই জিনিস এ দেশে নেই। সেই কারণে প্রাইভেসির কোনো মোক্ষম বাংলা হয় না। যদি প্রাইভেসির চর্চা থাকত, তাহলে তার একটা জুতসই বাংলাও থাকত।’
কথাটা শতভাগ না হলেও ৯৯ ভাগ সঠিক। কারণ, এই দেশে যে বাড়ির দেয়াল-পাঁচিল নেই, যে বাড়িতে চাইলেই ঢোকা যায়, সে বাড়িতে ‘ও ভাই! বাড়ি আছেন নাকি!’...বলতে বলতে কারও কোনো অনুমতি-টনুমতির তোয়াক্কা না করে বাড়িমালিকের একেবারে শোবার ঘরে পরিচিত বা প্রতিবেশীরা ঢুকে পড়তে পারেন। এর মধ্যে তাঁরা খুব একটা অভব্যতা-অস্বাভাবিকতা দেখেন না। যা দেখেন, তার একটি গালভরা নাম আছে, সেটি হলো ‘সম্পর্কের দাবি’।


সম্পর্ক জিনিসটা দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না। কিন্তু ধরা–ছোঁয়া যায়, এমন অস্তিত্বনির্ভর চলমান জিনিসের মতোই সম্পর্ক নিয়তপরিবর্তনশীল এবং চলমান। সম্পর্কের গতি আছে। সম্পর্ক চলতে থাকে। চলতে চলতে তা সুসম্পর্কে রূপ নিতে পারে। সুসম্পর্ক চলতে চলতে আবার খারাপ সম্পর্কেও মোড় নিতে পারে। সম্পর্কের স্বাদও আছে। সেই স্বাদও পরিবর্তনশীল। আজকে যে সম্পর্ক চিনির মতো মিষ্টি, কালকে তা তুঁতের মতো তিতা। এই সুসম্পর্ক অনেক সময় ‘অন্তরঙ্গ সম্পর্কে’ মোড় নিতে পারে। বিশেষ করে মানব-মানবীর মধ্যে যখন সেই অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরি হয়, তখনই প্রাইভেসি প্রসঙ্গ জোরালো হয়ে ওঠে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও