নদীতীরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে নৌ অ্যাম্বুলেন্স
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মানুষের নৌযান ছাড়া যাতায়াতের কোনো উপায় নেই। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই জনপদের মানুষকে দ্রুত ও জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য তিন বছর আগে একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু চালক ও জ্বালানি তেলের খরচ না দেওয়ায় ২৫ লাখ টাকার এই নৌ অ্যাম্বুলেন্স নদীতীরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এটি চালু না হওয়ায় ওই তিন ইউনিয়নের মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
ঘড়িসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রব হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, চরাঞ্চলের মানুষ অসুস্থ হলে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে হাসপাতালে আনতে হয়। অনেক সময় দ্রুত চিকিৎসা-সেবা প্রয়োজন হয়, কিন্তু নৌপথের বিকল্প না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চরাঞ্চলের মানুষের কথা বিবেচনা করে দ্রুতগতির নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি উপহার দিয়েছেন। কিন্তু কর্মকর্তাদের অযত্ন ও অবহেলায় তা আজ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে।
চরআত্রার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন (৬৫) গত নভেম্বরে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য নৌ অ্যাম্বুলেন্স পেতে তাঁর স্বজনেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করেন। কিন্তু অচল অ্যাম্বুলেন্সটি আর পাঠানো যায়নি। পরে ট্রলারে করে তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনতে হয়।
দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাবা অসুস্থ হওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স পেতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করি। কিন্তু নৌ অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট থাকায় তা আর পাইনি। অনেক কষ্টে ট্রলারে করে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে পৌঁছাই। হাসপাতালে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় বাবার অবস্থা খারাপের দিকে যায়। তখন তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।’
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- নৌ-অ্যাম্বুলেন্স