কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

অপরিকল্পিত নগরায়ণ ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে

সমকাল প্রফেসর সৈয়দ হুমায়ুন আখতার প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:০৫

সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বাংলাদেশি ভূতত্ত্ববিদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ থেকে ১৯৭৫ সালে স্নাতক ও ১৯৭৬ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে ভারতের ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা করেছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তাঁর ৫০টির বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর জন্ম ১৯৫৫ সালে, কুষ্টিয়ায়।


ভূমিকম্পের প্রবণতা নিয়ে আপনি দীর্ঘদিন গবেষণা করছেন। আপনার গবেষণা মডেলে বলেছেন, বাংলাদেশের ভূ-গঠনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি জমা হয়েছে। বিষয়টি যদি ব্যাখ্যা করেন।


সৈয়দ হুমায়ুন আখতার : ২০০৩ সাল থেকে ভূমিকম্প নিয়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গবেষণা করে আসছি। সেখানে আমার গবেষণা মডেলে উল্লেখ করেছি ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান এবং বার্মা- এই তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। ভূতাত্ত্বিক কাঠামো অনুযায়ী বাংলাদেশ তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এর মধ্যে একটি হলো- ইন্ডিয়া প্লেট। এর পূর্বদিকে বার্মা প্লেট এবং উত্তরে এশিয়া প্লেট। ইন্ডিয়া ও বার্মা প্লেটের সংযোগস্থল বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ হাওর হয়ে মেঘনা দিয়ে বঙ্গোপসাগর হয়ে সুমাত্রা পর্যন্ত চলে গেছে। প্লেটের সংযোগস্থলে ৮০০ থেকে ১০০০ বছর আগে ভূমিকম্প হয়েছিল। ফলে এই সময়ে এই অংশে যে পরিমাণ শক্তি জমা হয়ে আছে, সেটি যদি একসঙ্গে বের হয়, তাহলে ৮ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের গবেষণা অনুযায়ী আমরা বলতে পারি, এই শক্তি একদিন না একদিন বের হবে। এই শক্তি একবারে বের হতে পারে। আবার আংশিকও বের হতে পারে। বের হবে- এটি নিশ্চিত। তবে ঠিক কোন সময়ে বের হবে, এই তারিখ বলতে পারব না।


এ ধরনের ভূমিকম্প বাংলাদেশের জন্য কতটা বিপর্যয়কর হতে পারে?


সৈয়দ হুমায়ুন আখতার: আমাদের এ অঞ্চলে ভূমিকম্প হলে এটি হবে জীবনহানিকর। কারণ স্পষ্ট- ভূমিকম্পের উৎসস্থল হবে ঢাকার খুব কাছে। ঢাকা শহরের দালানকোঠা অধিকাংশ অপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। গোটা দেশেই অনিয়ন্ত্রিতভাবে বসতি গড়ে উঠেছে। রাজধানী ঢাকার নিচে যদি ৫ মাত্রার ভূমিকম্পও হয়, তাহলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঢাকার কাছাকাছি যদি ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয় তাহলে ঢাকার অবস্থা কী হবে, তা এখন আমরা কল্পনাও করতে পারব না। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে কোথায় কী পরিমাণ ক্ষতি হবে, এটা বোঝার উপায়ও থাকবে না। মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার এবং প্রতিটি এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে ম্যাপ তৈরি করতে হবে। সে অনুযায়ী সরকার ব্যবস্থা নিতে পারবে।


মানচিত্র তৈরির বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করবেন?


সৈয়দ হুমায়ুন আখতার: আসলে দুটি বড় ধরনের ভূমিকম্পের উৎস বাংলাদেশের প্রান্তে অবস্থান করছে। একটা হচ্ছে উত্তর-পূর্ব কোণে সিলেট অঞ্চলে ডাউকি ফল্টে, আরেকটা আমাদের পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম-ত্রিপুরা বেল্টে পাহাড়ি এলাকায়। উত্তর প্রান্তে যেটি ডাউকি ফল্ট; এখানে সংকোচনের হার হচ্ছে প্রতি একশ বছরে এক মিটার। গত ৫শ থেকে ৬শ বছরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের কোনো রেকর্ড নেই। তার মানে, ৫-৬ মিটার চ্যুতি ঘটানোর মতো শক্তি অর্জন করেছে। যদি রিখটার স্কেলে প্রকাশ করি, তাহলে এটি হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। এখান থেকে আমাদের রাজধানী ঢাকা শহর হচ্ছে দেড়শ কিলোমিটারের মধ্যে। ঢাকার মধ্যে বড় ভূমিকম্পের মতো ভূতাত্ত্বিক অবস্থা না থাকলেও সিলেট এবং চট্টগ্রামে শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাজধানী ঢাকা।


বাংলাদেশের কোন কোন এলাকা বেশি ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে?


সৈয়দ হুমায়ুন আখতার : কোনো স্থানের ভূকম্পনের জন্য ফল্ট লাইন এবং টেকনিক স্পেস ফিল্ড গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। সাধারণত, বড় ধরনের ভূকম্পন হয়ে থাকে প্লেট বাউন্ডারির মধ্যে। যদিও বাংলাদেশ প্লেট বাউন্ডারির মধ্যে নয়, তথাপি ভূপ্রাকৃতিক অবস্থান ও বিন্যাসের স্বকীয়তায় ভূমিকম্প মণ্ডলের আশপাশেই রয়েছি। বাংলাদেশকে ভূকম্পনের তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জোন হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থান যেমন- সিলেট, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার উল্লেখযোগ্য। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এবং পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সর্বাপেক্ষা কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও