ঋণে শীর্ষে আর্জেন্টিনা
আইএমএফ কোনো দেশকে স্বল্পমেয়াদে ও অর্থ-বাজারের থেকে কম সুদে মোটা অংকের ঋণ প্রদান করে, যাতে সেই দেশের সরকার তাদের বর্তমান দেনা-পাওনা মিটিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে পারে। আইএমএফকে বলা হয় ‘ল্যান্ডার অব লাস্ট রিসোর্স’ অর্থাৎ ঋণ পাওয়ার সর্বশেষ দরজা। কোনো দেশ আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলে ধরে নেওয়া হয় তাদের কাছে আর কোনো উপায় ছিল না। আইএমএফ ঋণ দেওয়ার সময় কিছু কঠিন ও অবশ্য পালনীয় শর্ত দেয়, যেগুলো যথাসম্ভব দ্রুত মেনে নিতে হয়। এ কারণে রাষ্ট্রগুলো সংস্থাটির কাছে হাত পাততে পছন্দ করে না।
আইএমএফ যে শর্তগুলো দেয় সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সরকারি খরচ কমানো, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, পুঁজি প্রবাহে বাধা দূর করা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যবসাগুলোকে বেসরকারি খাতের অধিভুক্ত করা, ভর্তুকি হ্রাস, কর বৃদ্ধি ইত্যাদি। সমস্যা হলো, এই শর্তগুলো দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, রাজনৈতিক অবস্থাভেদে পরিবর্তন হয় না। ফলে কোনো দেশের অবস্থা যা-ই হোক না কেন, তাদের আইএমএফেএর ঋণ পেতে হলে এই শর্তগুলো মেনে নিতে হয়। ঋণ দেওয়া হয় গ্রহীতা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য, কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় ঋণের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে দেশগুলো আরও গভীর সমস্যায় পড়ে যায়।