ব্যাংক খাতে ‘লাইসেন্স টু লুট’, বাংলাদেশ সংস্করণ

প্রথম আলো শওকত হোসেন মাসুম প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:০৯

লাইসেন্স টু কিল মানেই জেমস বন্ড। ব্রিটিশ গোয়েন্দা গল্পের নায়ক জেমস বন্ডকে এই লাইসেন্স দেওয়া আছে। চরিত্রটি কাল্পনিক, তবে গোয়েন্দাদের আসলেই এই ক্ষমতা দেওয়া হয় কি না, এ নিয়েও অনেক আলোচনা আছে। কোনো দেশই অবশ্য তা স্বীকার করে না। যদিও দেশে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখে যে কেউ বলতেই পারেন লাইসেন্স টু কিলের অস্তিত্ব অবশ্যই আছে। যেমন আছে লাইসেন্স টু লুটের অস্তিত্ব।


‘লাইসেন্স টু লুট’ নামে দক্ষিণ আফ্রিকার অনুসন্ধানী সাংবাদিক স্টিফেন হফস্ট্যাটারের লেখা একটা বিখ্যাত বই আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার এসকম হচ্ছে এমন একটি রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি, যার সাফল্য বা ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করে দেশটির উন্নতি বা অধোগতি।


সেই এসকমকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ আফ্রিকায় দুর্নীতির জাল যেভাবে বিস্তার ঘটেছে, তার বর্ণনাই মূলত লাইসেন্স টু লুট বই। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১৮ সালে। যদিও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে লাইসেন্স টু লুট কথাটা ব্যবহার করা হয়েছিল আরও ২০ বছর আগে—১৯৯৮ সালে।


সেই ঘটনা বর্ণনার আগে অবশ্য একটু ভূমিকার প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮৩ সালে; জেনারেল এরশাদ তখন ক্ষমতায়। কীভাবে পরিচালিত হবে, কারা মালিক হবেন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি কেমন হবে—এসব ঠিক না করেই বেসরকারি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।


বেসরকারি ব্যাংকের মালিক হতে তখন নিজের পকেট থেকে অর্থ ব্যয়ও করতে হয়নি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অনেকেই বেসরকারি খাতের ব্যাংকমালিক হয়েছিলেন। আবার তঁারা নিজেদের ব্যাংক থেকেও নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে তা–ও ফেরত দেননি। ১৯৯৮ সালের পরে এসে নিয়ম করা হয় যে অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাংকের মালিক হওয়া যাবে না এবং নিজের ব্যাংক থেকে নিজের পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি ঋণ নেওয়া যাবে না। যদিও পরে দেখা গেছে, এসব নিয়মনীতিও অনেকেই মানেননি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও