ভিয়েনা গ্রহণ না করা কূটনীতিক তৌহিদুলকে ‘ভেরি গুড অফিসার’ বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তৌহিদুল ইসলামের প্রশংসা করে বক্তব্য দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তাঁকে ‘ভেরি গুড অফিসার’ ও ‘তুখোড় ছেলে’ বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একটি দল তৌহিদুলের বিপক্ষে লেগেছে। তবে তিনি যত দিন (মন্ত্রী হিসেবে) আছেন, তত দিন তৌহিদুলকে ডিফেন্ড করে যাবেন।’
আজ শনিবার সকাল ১০টায় সিলেটে সুরমা নদীর চর খনন কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন এ কে আব্দুল মোমেন। এর আগে সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের চানপুর খেয়াঘাট এলাকায় নদীর খননকাজের উদ্বোধন করা হয়। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বর্তমানে সে (তৌহিদুল) আমাদের অ্যাম্বাসেডর ইন সিঙ্গাপুর। তাঁকে আমরা ভিয়েনাতে দিতে চাই। সেখানে মাল্টি ন্যাচারাল কাজ আছে আমাদের ধারণা। সারা দেশেই বোধ হয় এই ক্যারেক্টার, আমরা খালি (কেবল) মানুষকে নিচে নামানোর জন্য উঠেপড়ে লাগি। আর মিডিয়াও ওই লাইনেই আছে। ওপরে ওঠানোর চেষ্টা করে না, খালি নামানোর জন্য। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনেক ডিপ্লোম্যাট আছে, আমাদের একজন ডিপ্লোম্যাট, হি (তৌহিদুল) ইজ সাকসেসফুল।’
কূটনীতিক তৌহিদুল ইসলাম সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সে মেডিকেল ডাক্তার, সে ঢাকা থেকে এমবিবিএস পাস করে, সে ফার্স্ট হয়। তারপর সে যখন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পরীক্ষা দেয়, ওইটাতেও সারা বাংলাদেশে ফার্স্ট হয়। তারপরে তার ব্যাচের ফার্স্ট বয় সে। অত্যন্ত ভালো, তুখোড় ছেলে। এখন ওরে টেনে কীভাবে নামানো যায়, এ জন্য তাঁর মন্ত্রণালয়ের লোকজন, তাঁরই বন্ধুবান্ধবরা কন্টিনিউয়াসলি চেষ্টা করে। তাঁর (তৌহিদুল) শত্রু আছে। সে যখন মিলানে কনসাল জেনারেল ছিল, কনসাল জেনারেল থাকা অবস্থায় কোনো একটা মেয়েকে তাঁর পেছনে লাগিয়ে দেয়। লাগিয়ে দিয়ে একটা কেলেঙ্কারির চেষ্টা করে। তখন তাকে উইথড্র করা হয়, সাসপেন্ড করা হয়, অনেক ইনভেস্টিগেশন করা হয়, সরকারের অনেক টাকা খরচ করা হয়। পরে দেখা যায় এক্কেরে বানোয়াট, এক্কেরে অলীক। তাঁর (তৌহিদুল) প্রমোশন হয়, তারপর অ্যাম্বাসেডর হয়। এখন তাঁর বিরুদ্ধে আবার লাগছে একদল, তাঁরই বন্ধুবান্ধব হবে। আর না হয় পত্রিকায় এগুলো গেল কীভাবে? হি ইজ অ্যা ভেরি গুড অফিসার। আমি যদ্দিন আছি, আই উইল ডিফেন্ড হিম।’