শিল্পকলায় সন্ধ্যায় ‘জেল থেকে বলছি’ যাত্রাপালার মঞ্চায়ন
সামাজিক শিক্ষা বা লোকশিক্ষার ক্ষেত্রে যাত্রাপালার আছে বলিষ্ঠ ভূমিকা। আদি যাত্রাপালার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় শুরুর দিকের যাত্রাপালাগুলো মূলত কাহিনী নির্ভর।
সেসব কাহিনীজুড়ে আছে নানান ধরনের চরিত্র। সেসব চরিত্রের কেউ ন্যায় করছে, কেউ অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কেউ আবার অন্যায়ের পক্ষ নিচ্ছে। কিন্তু সবশেষে বিজয় হচ্ছে ন্যায়ের এবং পরাজিত হচ্ছে অন্যায়। এসবই আমাদের শুরুর দিকের যাত্রাপালার বিষয়বস্তু। তাই সে সময় যাত্রাপালা নেহাতই বিনোদনের মাধ্যম ছিল না, ছিল লোকশিক্ষা অর্জনেরও এক সাংস্কৃতিক পাঠশালা।
এদেশের শেকড়ের সঙ্গে মিশে আছে যাত্রা। উচ্চস্বরের সংলাপ ও বিবেকের গানের সেই চিরচেনা সুরে দর্শকদের বিমোহিত হওয়ার সেই দৃশ্য বর্তমানে বিরল। তবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় শুরু হয়েছে যাত্রা উৎসব। এই উৎসবে মঞ্চস্থ হবে নেত্রকোনার টাইগার রুবেল নাট্য সংস্থার যাত্রাপালা ‘জেল থেকে বলছি’। সামাজিক শিক্ষা বা লোকশিক্ষার ক্ষেত্রে যাত্রাপালার যে বলিষ্ঠ ভূমিকা আছে, এই পালাটি তারই নিদর্শন বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে দেশের ছয়টি যাত্রাদল যাত্রাপালা পরিবেশন করবে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে রয়েছে নেত্রকোনার টাইগার রুবেল নাট্য সংস্থার যাত্রাপালা ‘জেল থেকে বলছি’। এটির পালাকার উদয় ভানু এবং এই পালাটি মঞ্চস্থ হবে সন্ধ্যায়।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- মঞ্চায়ন
- যাত্রাপালা