উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘উকিল মডেল’

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৫

উইকিপিডিয়ায় উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে একজন বাংলাদেশি রাজনীতিক হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। এর তথ্য অনুযায়ী, তিনি মোট পাঁচবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে ((ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হয় আশির দশকে) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন উকিল আবদুস সাত্তার। এরপর বিএনপিতে যোগ দিয়ে তিনি পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম সংসদের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে আসনটি বিএনপি জোট সঙ্গী মুফতি ফজলুল হক আমিনকে ছেড়ে দেওয়ায় উকিল আবদুস সাত্তার সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিএনপি সরকার তাঁকে টেকনোক্র্যাট কোটায় আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছিলেন।


এতে প্রমাণিত হয়, উকিল আবদুস সাত্তার আগাগোড়া বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেই ছিলেন। এমনকি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে তিনি ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগও করেন। প্রলোভনে হোক কিংবা ভবিষ্যতে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ার শঙ্কা থেকে হোক, পরে তিনি উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেন। বিএনপির নেতৃত্ব আবদুস সাত্তারকে দলীয় আদর্শের পরিপন্থী কাজের জন্য বহিষ্কার করেনি। বহিষ্কার করেছে ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ দায়ে। অতীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করেছেন। পরে দল  ফিরিয়েও নিয়েছে। গত ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারী নেতা-কর্মীদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই দল থেকে কাউকে বহিষ্কার করলেই বলা যাবে না যে তিনি দলের আদর্শের বিরুদ্ধে গিয়েছেন। অন্তত সাড়ে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিএনপিতে থাকা উকিল আবদুস সাত্তারের ক্ষেত্রে তো নয়ই।


উকিল আবদুস সাত্তারের মতো  একজন খাঁটি ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী’ রাজনীতিকের প্রতি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব যে ‘মহত্ত্ব ও উদারতা’ দেখিয়েছেন , তা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ‘স্বর্ণাক্ষরে’ লেখা থাকবে। শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের আমলেও আমরা বিএনপির দুই সংসদ সদস্যকে আওয়ামী লীগ মন্ত্রী করেছিলেন জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের নামে। এবারে দলের তিন স্থানীয় নেতাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বসিয়ে দিল বিএনপির সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে সংসদে নিয়ে আসার কৌশল হিসেবে। একে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের উকিল মডেল হিসেবেও চিহ্নিত করা যায়।


প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী সরে দাঁড়ালেন। শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের নেতৃত্বে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তাঁরা নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। তিনজন সরে যাওয়ায় এই নির্বাচনে বর্তমানে বিএনপির দলছুট নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াসহ পাঁচজন প্রার্থী আছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও