চিনি ও চর্বি মস্তিষ্ককে কীভাবে প্রভাবিত করে?
আসক্তির ক্ষেত্রে আমরা প্রায়শই ধূমপান এবং মদ্যপানের কথা ভাবি। কিন্তু আরো একটি আসক্তি রয়েছে, যাতে ১৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২ শতাংশ শিশু প্রভাবিত হয়। আর সেটি হলো খাবারের প্রতি আসক্তি।
চর্বি এবং চিনি দিয়ে তৈরি মজাদার খাবারগুলো আমাদের বেশি আকৃষ্ট করে।
এগুলো এড়ানো অসম্ভব মনে হতে পারে, বিশেষ করে ছুটির দিনে। বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে, এটি অনুভূতির চেয়েও বেশি। অর্ধশতাব্দী ধরে খাদ্য প্রবণতা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছে যেখানে আমেরিকান প্রাপ্তবয়স্কদের খাওয়া অর্ধেকেরও বেশি খাবার অতিপ্রক্রিয়াজাত। এগুলো প্রায়ই ডোপামিন নিঃসৃত করতে শরীরের চর্বি এবং চিনিতে আঘাত করে।
এই প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্যগুলো আমাদের জীববিজ্ঞানকে পুঁজি করে আমাদের চাহিদা বাড়িয়ে দেয়। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক অ্যাশলে গিয়ারহার্ড বলেছেন, 'আমরা বুঝতে পারি না যে এগুলো আসলেই মানুষকে হত্যা করছে, যা আমরা অ্যালকোহল এবং তামাকের মতো জিনিসগুলোর সঙ্গে দেখতে পাচ্ছি। এগুলো প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর দিকে পরিচালিত করে। ' তিনি ২০২২ সালের মার্চ মাসে খাদ্য আসক্তির বিস্তার নিয়ে একটি গবেষণা দলের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মূল্যায়ন করেছেন।
খাবার আমাদের মস্তিষ্ককে অনেক জটিল উপায়ে প্রভাবিত করে। এর একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া হলো ডোপামিন নিঃসৃত করা। এটি আমাদেরকে এমন আচরণের পুনরাবৃত্তি করতে উৎসাহিত করে যা আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। যেমন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পুনরুৎপাদন করা। যখন আমরা চর্বি এবং চিনি খাই তখন ডোপামিনের নিঃসরণ ঘটে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষজ্ঞরা খাদ্য আসক্তি সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন সামনে আনতে শুরু করেছেন। কারণ তাদের প্রাথমিক অনুমানগুলোর কিছু মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। একসময় বিশ্বাস করা হতো যে খাবারের আসক্তিযুক্ত লোকেরা বাধ্যতামূলকভাবে খাওয়া চালিয়ে যায়।