কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পদ্মায় সাহসী সেতুর পর মেট্রোরেল মাইলফলক

সমকাল জুনাইদ আহমেদ পলক প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:১২

রাষ্ট্রচিন্তায় যদি থাকে দেশ ও মানুষের কল্যাণ, তার প্রতিফলন দেখা যায় সরকারের নীতি ও পরিকল্পনায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারে উন্নয়ন কার্যক্রমের দিকে আলোকপাত করলে দেখা যাবে, একের পর এক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে দেশ ও মানুষের কল্যাণে। এরই ধারাবাহিকায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেল ব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে আগমীকাল, ২৮ ডিসেম্বর। এর মধ্য দিয়ে রাজধানীর গণপরিবহনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এই মেট্রোরেল ঢাকা মহানগর ও তৎসংলগ্ন এলাকার যানজট নিরসন এবং পরিবেশ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উন্নয়ন অভিযাত্রায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের পর মেট্রোরেল হতে যাচ্ছে আরও একটি মাইলফলক।


২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট তথা মেট্রোরেল প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন লাভ করে। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য এমআরটি-৬ নামে ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ নির্ধারণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৬ জুন এমআরটি-৬ প্রকল্প নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
জাপানের অর্থ ও কারিগরি সহায়তায় ঢাকাবাসীর স্বপ্নের প্রকল্প মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার। প্রথম ধাপে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেলপথ চালু হবে। স্বাধীনতার ৫১ বছরে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেট্রো ট্র্যাকে চলছে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন। এক সময় যে মেট্রোরেলের স্বপ্ন ছিল নগরবাসীর, সেটাই এখন বাস্তবতা।


আমরা জানি, রাজধানীতে যত সমস্যা রয়েছে, তার মধ্যে যানজট সবচেয়ে ভোগান্তিকর। ঢাকার অসহনীয় যানজটে মানুষের দুর্ভোগই শুধু বাড়ছে না; দেশও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ যানজট হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি কর্মঘণ্টারও ক্ষতি করে। স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে যেমন ব্যাঘাত ঘটে, তেমনি প্রভাব পড়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে। মেট্রোরেল লাইন-৬ চালুর মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন এবং পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সময় সাশ্রয়ী, বিদ্যুৎচালিত ও পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার প্রবর্তন হবে।


বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিলে যেতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু মেট্রোরেলে লাগবে মাত্র ৩৮ মিনিট। মেট্রোরেলে প্রতিদিন পাঁচ লাখ যাত্রীর যাতায়াত করার সক্ষমতা রয়েছে। মেট্রোরেল চালুর মাধ্যমে ঢাকার যানজট যেমন কমবে, তেমনি জিডিপিও ১ শতাংশ বাড়বে। শুধু লাইন-৬ চালু হলেই ঢাকায় কার্বন নিঃসরণ দুই লাখ টনের মতো কমবে। এ ধরনের পরিবহন মানুষের জীবনধারা পরিবর্তন ও উৎপাদনশীল সময় বাড়িয়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।


রাজধানী হিসেবে ঢাকা মহানগরে আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যধিক। প্রতিনিয়ত জীবিকার অন্বেষণে, ভাগ্য বদলাতে শত শত লোক ঢাকায় পাড়ি জমায়। ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেলের মাধ্যমে একটি আধুনিক ও সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মেট্রোরেলের পাশাপাশি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও পাতাল রেলের কাজও হাতে নেওয়া হয়েছে।


এই অবিশ্বাস্য বদলে যাওয়াকে সাধারণ মানুষ এখন আর গল্প মনে করে না; বরং মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে- শেখ হাসিনার জাদুর ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে বাংলদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর ১৯৭৫-১৯৯৫ যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল। মানুষের আস্থা এতটাই নিম্নমুখী করা হয়েছে যে, ভালো কাজের প্রতি বিশ্বাস জন্মানো ছিল বড় কঠিন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও