কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পতাকার রং-বিকৃতি নিয়ে আমরা নিরাবেগ কেন

দেশ রূপান্তর কাজী শামসুল হক প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৫৮

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই অর্থাৎ পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত দেশ পাওয়ার আগেই আমরা আমাদের জাতীয় পতাকা পেয়েছি। প্রাথমিক পর্যায়ে লাল সূর্যের বুকজুড়ে দেশের হলুদ মানচিত্র অঙ্কিত লাল-সবুজ পতাকা পেয়েছিলাম। স্বাধীনতার পর বিস্তীর্ণ সবুজ জমিনে রক্তিম সূর্য উদিত লাল-সবুজ রঙের পতাকা পেয়েছি। পরিমার্জিত এ লাল-সবুজ রঙের জাতীয় পতাকা কষ্টার্জিত স্বাধীন দেশের মতোই আমাদের প্রাণপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমার কিশোর মনে লাল-সবুজের পতাকার রেখাপাতের এক ছোট্ট ঘটনা সহৃদয় পাঠকের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই।


১৯৭১ সালের এপ্রিল মাস। আমি তখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। টাঙ্গাইল শহরে আমার বাবা দোকান করতেন। মুক্তিযুদ্ধের আগে ওই দোকানে মাঝেমধ্যে (পাকিস্তানি বিশেষ দিবসে) চাঁদ-তারাখচিত পতাকা উত্তোলন করতে দেখেছি। একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকে চাঁদ-তারা মার্কা পতাকার পরিবর্তে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত লাল-সবুজ রঙের একটি পতাকা নতুন বাঁশের লাঠিতে বেঁধে উত্তোলন করা হলো। প্রতিদিন সকালে দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে বাছিদ কাকা (দোকানের কর্মচারী) পতাকাটি উত্তোলন করতেন এবং রাতে দোকান বন্ধ করার সময় লাঠিসমেত পতাকাটি তুলে রাখতেন।


৩ এপ্রিল ১৯৭১ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী টাঙ্গাইল শহর আক্রমণ করে। সেদিনও সকালে যথারীতি বাছিদ কাকা নতুন পতাকাটি উত্তোলন করেছিলেন। কিন্তু দুপুরে হানাদারদের শহর আক্রমণের খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি করে পতাকাটি নামিয়ে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে আসতে বাধ্য হন। সঙ্গে নতুন পতাকাটি ভাঁজ করে নিয়ে আসেন। ৩ এপ্রিলের পর পাকিস্তানি মিলিটারিদের ভয়ে আবার যেদিন দোকান খোলা হলো সেদিন সেই চাঁদ-তারা মার্কা পতাকাটি লাঠির মাথায় বাঁধা হলো। কিন্তু এবার রাতে দোকান বন্ধ করা হলেও চাঁদ-তারা মার্কা পাকিস্তানি পতাকাটি লাঠিসমেত দোকানেই বাঁধা থাকত। বাছিদ কাকা ইচ্ছা করেই আর ওই পতাকাটিতে হাত দেননি। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে যুদ্ধজয়ের খবর শুনে এক দিন ওই চাঁদ-তারা মার্কা পতাকাটি নামিয়ে ফেললেন বাছিদ কাকা। এদিকে আমি ৩ এপ্রিলের পর থেকে বাছিদ কাকার ভাঁজ করে বাড়িতে আনা নতুন দেশের নতুন পতাকাটি হাতে পাওয়ার জন্য মনে মনে ছটফট করছিলাম। গোপনে হন্যে হয়ে খুঁজছিলাম। পাওয়া না গেলেও মুখ ফুটে কাউকে বলতে পারছিলাম না! বাছিদ কাকার যেদিন দরকার হলো, সেদিন চুপি চুপি তার পিছু নিয়ে দেখলাম সে তার ঘরে কাউকে কিছু না বলে মাচায় মাটির একটি হাঁড়ি থেকে অনেক কসরত করে সেই পতাকাটি বের করলেন। ঝাড়া দিয়ে পতাকাটি মেলে ধরেই বাছিদ কাকার উজ্জ্বল মুখটি হঠাৎ মলিন হয়ে গেল! বিষাদে তার চেহারা করুণ হয়ে গেল!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও