শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা? সুস্থ থাকতে কী করবেন
শীতকালে অনেকেরই কোষ্ঠাকাঠিন্যের সমস্যা হয়। সারা বছর যারা সুস্থ থাকেন, তাদেরও কেউ কেউ শীতকালে এক বার হলেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। ঠিক করে পেট পরিষ্কার না হওয়া, পেটে এবং কোমরে ব্যথা, পেট ভার, পেট ফাঁপা, গ্যাস, অরুচি - এগুলি কোষ্ঠকাঠিন্যের কিছু উপসর্গ। এর অন্যতম কারণ হল কম পানি খাওয়া। আবার খুব বেশি তেল-মসলা খাওয়ার কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
সুস্থ থাকতে এই শীতে খাওয়াদাওয়া নিয়ে সকলেরই সচেতন থাকা জরুরি। কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি শীতের মৌসুমে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। শীতকালে যেসব খাবার বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় -
অ্যালকোহল: কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাব্য কারণ হতে পারে অ্যালেকাহল। কারণ অত্যধিক অ্যালকোহল সেবনের ফলে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর তরল বেরিয়ে যায়। যার ফলে শরীরে তৈরি হয় পানিশূন্যতা। এতে শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
কাঁচা কলা : কলা হজমের জন্য খুব ভালো হলেও, কাঁচা কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। পাকা কলায় উচ্চ মাত্রায় ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, অপরিপক্ক বা কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ থাকে, যা হজম করা বেশ কঠিন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
ফ্রায়েড ফুড: ভাজা বা ফাস্ট ফুড বেশি খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এই খাবারগুলিতে ফ্যাট বেশি এবং ফাইবার কম থাকে। এর ফলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।
দুগ্ধজাত পণ্য বা দুধ : দুগ্ধজাত পণ্যের কারণেও অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। গরুর দুধে পাওয়া প্রোটিনের প্রতি সেনসিটিভিটির কারণে ছোটো শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
প্রক্রিয়াজাত শস্য: উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার হজমের জন্য দারুণ উপকারী। কিন্তু সাদা রুটি এবং সাদা ভাতের মতো উচ্চ প্রক্রিয়াজাত শস্যে ফাইবারের অভাব থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ।