পুতিন কি নিজের উত্তরাধিকার রেখে যেতে পারবেন?
যে ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভোগেন না কেন, সম্প্রতি তাঁর স্বাস্থ্যের যে গুরুতর অবনতি হয়েছে—এমন জল্পনা চলছে। গত সপ্তাহে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান বাতিল করেন পুতিন। তাঁর স্বাস্থ্য–সম্পর্কিত জল্পনা তাতে আরও দানা বেঁধেছে।
প্রতিবছর সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সামনে উপস্থিত হয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কথা বলেন পুতিন। এবারে সে আয়োজন বাতিল করা হয়েছে। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের বাস্তবতা এবং ইউরোপের নিরাপত্তা প্রশ্নে এ সংবাদ সম্মেলন ক্রেমলিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় ছিল। এ সুযোগ হারানো স্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। অনেক বিশ্লেষক বলতে চাইছেন, সাংবাদিকদের কঠোর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে ইচ্ছুক নন পুতিন। কিন্তু পুতিন একজন ঝানু রাজনীতিবিদ, তিনি রাশিয়ার মূল্যবোধের প্রচারক হিসাবে নিজেকে উপস্থাপনও করতে চান। পুতিন বিশ্বাস করেন, পশ্চিমা বিশ্ব (বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র) দুর্নীতিগ্রস্ত। তারা সনাতনী খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়ে পুতিন আবার সেই যুক্তি সামনে আনতে পারতেন এবং তাঁর বিশ্বাসের পক্ষে জনমত আরও শক্তিশালী করতে পারতেন।
পুতিন তাঁর বছরব্যাপী জনপ্রিয় কর্মসূচি ‘সরাসরি সংযোগ’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানও বাতিল করেছেন। এ কর্মসূচি পুতিনের সঙ্গে সাধারণ রাশিয়ানদের সরাসরি কথা বলা, তাদের অভিযোগ জানানো ও সমস্যা সমাধানের একটি মঞ্চ। পুতিন তাঁর এই ‘সরাসরি সংযোগ’ কর্মসূচিকে ব্যবহার করে খুব কার্যকরভাবে সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলো সমাধান করেন। তাদের মধ্যে তিনি এ ধারণা প্রতিষ্ঠা করেন যে আমলাতন্ত্র জনগণের কাজে যতটা না বাধা সৃষ্টি করে, তার চেয়ে তাদের অনেক বেশি সহায়তা করে।