![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2022-12%252F95bff909-67ff-4c04-9aab-74c715104976%252Fdemu_train.webp%3Fauto%3Dformat%252Ccompress%26format%3Dwebp%26w%3D640%26dpr%3D1.0)
দেশীয়ভাবে মেরামতের ১৫ দিনেই এক ইঞ্জিন নষ্ট, উঠছে না জ্বালানি খরচ
দেশীয় পদ্ধতিতে, সাশ্রয়ী মূল্যে অচল ডেমু ট্রেন মেরামত করে সচল করছে বলছে রেলওয়ে। রেলমন্ত্রীকে দিয়ে সচল করা একটি ডেমু ট্রেনের আনুষ্ঠানিক চলাচলও উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু ১৫ দিনের মাথায় ওই ডেমু ট্রেনের দুটি ইঞ্জিনের একটি বিকল হয়ে পড়েছে। এখন একটি ইঞ্জিন দিয়ে কোনোরকমে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার গতিতে ডেমু চালানো হচ্ছে।
ফলে ডেমু ট্রেন সময় মেনে চলতে পারছে না। এতে যাত্রী ও আয় কোনোটাই আশানুরূপ হচ্ছে না। রেলওয়ে সূত্র বলছে ট্রেনটি চালিয়ে গড়ে যে আয় হচ্ছে, তাতে জ্বালানি খরচই উঠছে না।
অচল ডেমু ট্রেন সচল করতে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেয় রেলওয়ের মেকানিক্যাল বিভাগ। তিনি বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে চাকরি করেন। গত ২ বছর ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা খরচ করে এক সেট ডেমু ট্রেন সচল করা হয়।
গত ৯ অক্টোবর রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে রংপুর পর্যন্ত পথে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনের চলাচল উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রীসহ কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ডেমু ট্রেনটি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে চালানো হচ্ছে।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, উদ্বোধনের পর কিছুদিন ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ডেমু ট্রেন চলেছে। গত ২৫ অক্টোবর একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এখনো সেটি বিকল আছে। ডেমু ট্রেনের দুই পাশে দুটি ইঞ্জিন। এখন একটি ইঞ্জিন দিয়েই চলছে। গতি ঘণ্টায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার। ট্রেনটি দিনে একবার রংপুর গিয়ে পুনরায় পার্বতীপুরে ফিরে আসে। অর্থাৎ দিনে দুইবার চলাচল করে।
রেলওয়ে সূত্র আরও বলেছে, ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ডেমু ট্রেনটি মোটামুটি সময় মেনেই চলাচল করেছে। একটি ইঞ্জিন বিকল হওয়ার পর ২৫ অক্টোবর পার্বতীপুর থেকে ৫৫ মিনিট দেরিতে ছাড়ে। রংপুর পৌঁছে ফেরার সময় এক ঘণ্টার বেশি দেরি করে। এরপর প্রতিদিনই আসা-যাওয়ায় এক ঘণ্টা বা তারও বেশি দেরি করছে। ডেমু ট্রেনটির যাত্রী মূলত স্বল্প দূরত্বের। তাদের বেশির ভাগই অফিসগামী। কেউ কেউ জরুরি কাজে যাতায়াত করেন। সময় মেনে চলছে না বলেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ট্রেনটি থেকে যে আয় হচ্ছে, তা দিয়ে জ্বালানি খরচই উঠছে না।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- খরচ
- ডেমু ট্রেন
- জ্বালানি
- বাংলাদেশ রেলওয়ে