পদ্মা সেতুর ব্যয় বাড়ছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৪৫

পদ্মা সেতু চালু হয়েছে মাস পাঁচেক আগেই। এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। টোল বাবদ প্রতিদিন গড়ে দুই কোটি টাকা আয় হচ্ছে। তবে পদ্মা সেতু প্রকল্প এখনো চলমান। নদীশাসনের কাজ শেষ হয়নি। এ পরিস্থিতিতে আরেক দফা প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।


বর্তমানে পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা আছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। নতুন করে সংশোধনের পর তা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৩২ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যয় বাড়ছে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। ২০০৭ সালে প্রথম প্রকল্পটির অনুমোদনের সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা।


সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ব্যয় বৃদ্ধির পেছনে কারণ হচ্ছে—কিছু কাজ বেড়ে যাওয়া, ঠিকাদারের আয়ের ওপর কর ও পণ্যের ভ্যাট বৃদ্ধি, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, নদীভাঙন, ফেরিঘাট স্থানান্তর, সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় পরামর্শকের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, সেতুর জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয় ও নকশায় কিছু সংশোধন। এর বাইরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৮৯ কোটি টাকা।


কোন কোন কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো দরকার, এর একটা তালিকা করেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। সূত্র বলছে, বাড়তি যে ব্যয় ধরা হয়েছে, এর বেশির ভাগ আগেই খরচ হয়ে গেছে। এখন প্রকল্প সংশোধনের মাধ্যমে তা আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ করা হচ্ছে। কিছু কাজ ভবিষ্যতে করা হবে। এর ব্যয়ও যুক্ত করে প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত সংশোধন করা হবে।


পদ্মা সেতু প্রকল্পের মেয়াদ আগামী জুন পর্যন্ত। তবে নির্মাণকাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত জুনে। এখন চলছে ঠিকাদারের দেনা-পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া এবং ছোটখাটো মেরামতকাল বা ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড (ডিএলপি)। তবে নদীশাসনের কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় তা (ডিএলপি) আরও এক বছর বাড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রকল্পের একটি সংশোধনী প্রস্তাব তৈরি করেছে সেতু বিভাগ। এটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও