ফুসফুস ক্যানসারে এই লক্ষণগুলো থাকতে পারে
প্রথম আলো
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২২, ২০:৩৫
নভেম্বর মাসকে ফুসফুস ক্যানসারের সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হয়। ফুসফুসের ক্যানসারে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১৩ লাখ মানুষ মারা যান। এটি পুরুষদের ক্যানসারজনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ এবং নারীদের দ্বিতীয় প্রধান কারণ।
কেন হয়
- ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপায়ী ও তামাকসেবী। ধূমপায়ী না হয়েও চারপাশের মানুষের ধূমপানের কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ফুসফুস।
- যানবাহন ও কারখানার কালো ধোঁয়া, বায়ুদূষণ, অজৈব পদার্থের ক্ষুদ্র কণা বা আঁশ (যেমন অ্যাসবেসটস, নিকেল, ক্রোমিয়াম) এবং জৈব পদার্থ (যেমন বেনজিন, বেনজোপাইরিন) বায়ুর সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে ফুসফুসের ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
- ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর আত্মীয়ের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিও অন্যদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এ ছাড়া সিলিকোসিস, ইন্টারস্টিশিয়াল লাং ডিজিজ, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস রোগগুলোয় ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি বেশ বৃদ্ধি পায়।
- অনাকাঙ্ক্ষিত তেজস্ক্রিয়তাও ফুসফুসের ক্যানসারের উল্লেখযোগ্য কারণ। কতিপয় বিশেষ পেশাজীবী, যেমন কয়লার খনিশ্রমিক, নির্মাণশ্রমিক, পেট্রোলিয়াম, কেমিক্যাল বা রবার কারখানার শ্রমিক ও জাহাজশ্রমিক, যাঁরা এক্স-রে বিভাগে কাজ করেন, যাঁদের রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া হয়, অ্যাসবেস্টস কারখানার কর্মী কিংবা প্রচুর ধুলাবালুর মধ্যে কাজ করেন—এ ধরনের ব্যক্তিদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসার হওয়ার হার বেশি।
- অতিরিক্ত মদ্যপান ও ফুসফুস ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- ফুসফুস ক্যান্সার