কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আয়কর রিটার্ন দাখিল না করলে কী হবে?

ঢাকা পোষ্ট প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১৩:১২

আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে একজন করদাতার বার্ষিক আয়, ব্যয় ও সম্পদের তথ্য নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। করযোগ্য আয় থাকলে কিংবা সরকারি বিভিন্ন সেবা পেতে রিটার্ন দাখিল না করার বিকল্প নেই।


আয়কর আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে বিলম্ব সুদ ও জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে করদাতাকে। শুধু জরিমানা নয়, আয়কর না দেওয়ার কারণে অনেক সময় করদাতাকে কঠোর সাজার মুখোমুখি হতে পারে। যেমনটা হয়েছিল করদাতা আহসান আলী নামের এক করদাতার সঙ্গে। কর ফাঁকি দিতে পুরাতন টিআইএন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে বছরের বেশি জেল খাটতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত জরিমানা ও আসল করসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মতো জরিমানা দিয়ে জেল থেকে বের হতে হয়েছে।


এর পাশাপাশি অন্তত যে ৪০ ধরনের সেবায় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেসব সেবা হতে বঞ্চিত হতে হবে করদাতাকে। যার মধ্যে রয়েছে-গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে না কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া, বেতন-ভাতা প্রাপ্তিতে অসুবিধা, বিভিন্ন লাইসেন্সের রেজিস্ট্রেশন ও নবায়ন না হওয়া এবং ব্যাংকে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঞ্চয়ের ওপর অতিরিক্ত কর দেওয়া ইত্যাদি।


যে কারণে ৩০ নভেম্বরের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার কথা বলছেন এনবিআরের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। আয়কর নির্দেশিকা অনুসারে ই-টিআইএন থাকা সত্ত্বেও রিটার্ন দাখিল না করলে যেসব সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো-


>> যেসব ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেসব সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। যেমন- ক্ষেত্রমত, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে না কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে অসুবিধা হবে।


>> নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে তার ওপর আয়কর অধ্যাদেশের ১২৪ ধারা অনুযায়ী জরিমানা, ৭৩ ধারা অনুযায়ী সরল সুদ এবং ৭৩এ ধারা অনুযায়ী বিলম্ব সুদ আরোপযোগ্য হবে।


>>  যে ক্ষেত্রে করদাতা রিটার্ন দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করে, উপ-কর কমিশনারের মাধ্যমে মঞ্জুরকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করবেন, সেক্ষেত্রে করদাতার ওপর জরিমানা আরোপিত হবে না, তবে বিলম্ব সুদ আরোপিত হবে।


আর চলতি অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকা অনুযায়ী যেসব সেবায় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তা হলো-


• কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি টাকা ঋণ নিতে গেলে


• কোনো কোম্পানির পরিচালক বা স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার হতে হলে


• আমদানি নিবন্ধন সনদ ও রপ্তানি নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে


• সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করতে গেলে


• সমবায় সমিতির নিবন্ধন পেতে হলে


• সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ার হতে এবং লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করতে


• সিটি করপোরেশন, জেলা সদরের পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় ১০ লাখের বেশি টাকার জমি, বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রয় বা হস্তান্তর বা বায়না নামা বা আমমোক্তারনামা নিবন্ধন করতে

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও