![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2022-11%252F3e821b93-aa87-4a61-969f-6cb66e96b768%252F20221113_SH_0029050956.jpg%3Fauto%3Dformat%252Ccompress%26format%3Dwebp%26w%3D640%26dpr%3D1.0)
ডেঙ্গু পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে
এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুসংখ্যা দুই শ ছাড়িয়েছে। এই মৃত্যু আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু রোগী ব্যবস্থাপনায় জোর দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কথা ভাবছে। তারা বলছে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হচ্ছে।
গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, ডেঙ্গুতে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে ২০২ জনের মৃত্যু হলো। এর আগে কোনো বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দুই শ ছাড়ায়নি। ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বড় আকারে দেখা দেয় ২০১৯ সালে। ওই বছর ডেঙ্গুতে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
অতীতে দেখে গেছে, অক্টোবর–নভেম্বরের দিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসে। কিন্তু এ বছর অক্টোবর মাসে প্রায় ২২ হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৮৬ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা ও মেডিসিন সোসাইটি অব বাংলাদেশ যৌথভাবে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ডেঙ্গুর চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রায় আড়াই শ চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া দেশের সব সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অনলাইনে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসদের করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও মেডিসিন সোসাইটি অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক আহমেদুল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডেঙ্গু চিকিৎসার নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। অতি সম্প্রতি সেই নির্দেশিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সেই হালনাগাদ নির্দেশিকা ব্যবহার করে ডেঙ্গু রোগী ব্যবস্থাপনার বিষয়ে চিকিৎসকদের বলা হয়েছে।’
আহমেদুল কবীর আরও বলেন, এ বছর ডেঙ্গু রোগীর অবস্থা হঠাৎ খারাপ হয়ে পড়ছে এমন কথা রোগীর স্বজন ও চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি কিছুটা জটিল। কারণ, একই সঙ্গে ডেঙ্গুর তিনটি ধরন এখন সক্রিয় রয়েছে।