মাসুদকে দেওয়া হলো ২৮ লাখ, স্যারকে ২৪
কালো রঙের একটি ডায়েরি। এর মালিক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মোটর ট্রান্সপোর্ট (এমটি) অপারেটর জাহাঙ্গীর হোসেন। তাঁর দক্ষিণখানের বাসা থেকে ওই ডায়েরি জব্দ করা হয়। সমকাল ওই ডায়েরি দেখার সুযোগ পেয়েছে। এর পাতায় পাতায় রয়েছে প্রশ্ন ফাঁসের নানা চমকপ্রদ নথি।
কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়ে কাকে দিয়েছেন, সে হিসাব লিখে রেখেছিলেন জাহাঙ্গীর। বিমানের আরেক এমটি অপারেটর মাসুদ হোসেনের সঙ্গে তাঁর অধিকাংশ লেনাদেনা। মাসুদের হাত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির 'ওপর তলার' কর্মকর্তাদের কাছে প্রশ্ন ফাঁসের বিনিময়ে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ পৌঁছে দেওয়া হতো। ডায়েরির তথ্য বলছে, সর্বশেষ ২১ অক্টোবরের পরীক্ষাই শুধু নয়; এর আগেও প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগে একই চক্র সক্রিয় ছিল।
গত ২১ অক্টোবর বিমানের ১২টি পদে নিয়োগের পরীক্ষা ছিল। এর আগের দিনই প্রতিষ্ঠানটির অসাধু কিছু কর্মী প্রশ্ন ফাঁস করে। বিষয়টি জানাজানি হলে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে দেয়। সে সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার ও তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে ডায়েরির মালিক জাহাঙ্গীর ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরই মধ্যে তাঁরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।