ফেরেশতারা নারী নাকি পুরুষ
বেশির ভাগ আলেম এ বিষয়ে একমত যে মহান আল্লাহর বিস্ময়কর সৃষ্টি ফেরেশতারা পুরুষও নয়, আবার নারীও নয়। তারা লিঙ্গ নিরপেক্ষ সৃষ্টি। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের বিশ্বাস হচ্ছে, ফেরেশতাদের নারী বলে বিশ্বাস করা কুফরি। তবে তাদের পুরুষ বলে বিশ্বাস করা কুফরি নাকি ভ্রষ্টতা তা নিয়ে মতভিন্নতা আছে।
কেননা কোরআনে ফেরেশতাদের নারী হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট ভাষায় প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। অন্যদিকে পুরুষ যে নয়, তা স্পষ্ট ভাষায় নিষেধ করা হয়নি। এ জন্য শায়খ আবদুল্লাহ বিন বাজ (রহ.)-সহ একদল আলেম বলেছেন, ফেরেশতারা পুরুষ, নারী নয়। (মাজমুউ ফাতাওয়া : ৮/৪২৪)
ইসলাম-পূর্ব আরবের লোকেরা বিশ্বাস করত ফেরেশতারা নারী এবং তারা আল্লাহর কন্যা। আল্লাহ তাদের ভ্রান্ত বিশ্বাসের নিন্দায় বলেন, ‘তারা দয়াময় আল্লাহর বান্দা ফেরেশতাদের নারী গণ্য করেছে। তাদের সৃষ্টি কি তারা প্রত্যক্ষ করেছিল? তাদের উক্তি অবশ্যই লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে। ’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ১৯)
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘দেখো তারা তো মনগড়া কথা বলে যে আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তারা নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদী। তিনি কি পুত্রসন্তানের পরিবর্তে কন্যাসন্তান পছন্দ করতেন?’ (সুরা সাফফাত, আয়াত : ১৫১-১৫৩)
আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) ওই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, আল্লাহ স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, মুশরিকরা আল্লাহর বান্দা ফেরেশতাদের নারী ও আল্লাহর কন্যা মনে করত এবং আল্লাহর সঙ্গে তাদের উপাসনা করা তা ছিল পুরোপুরি ভুল। (তাফসিরে কাসির : ৪/৫৭৭)
সাঈদ ইবনে মুসাইয়িব (রা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা পুরুষ বা নারী নয়, তারা পরস্পর থেকে জন্ম নেয় না, তারা পানাহারও করে না। ’ (ফাতহুল বারি : ৬/৩০৬)