দায় মেটানোর ডলার নেই ২০ ব্যাংকের কাছে
দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংকের অনুমোদিত ডলার সংরক্ষণের ক্ষমতা ৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। ব্যাংকটির আমদানি দায় পরিশোধের পরও এ পরিমাণ ডলার নিজেদের হিসাবে সংরক্ষণ করতে পারে ব্যাংকটি। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকটির কাছে বর্তমানে দায় মেটানোর মতো কোনো ডলারই নেই।
উল্টো ২৫৬ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে ব্যাংকটির ঘাটতি। আর সেটা মেটানো হয়েছে গ্রাহকদের একাউন্টে থাকা ডলার ভাঙিয়ে। সংকটের কারণে যথাসময়ে ঋণপত্রের (এলসি) দায়ও পরিশোধ করতে পারছে না অগ্রণী ব্যাংক।
এলসি দায় পরিশোধে বিলম্বও ব্যাংকটির নিয়মিত ঘটনা। বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের পরিস্থিতিও প্রায় একই। ব্যাংকটির ডলার ধারণক্ষমতা ৫৩ মিলিয়ন হলেও এ মুহূর্তে উদ্বৃত্ত কোনো ডলার নেই। উল্টো ব্যাংকটি ৮৮ মিলিয়ন ডলার ঘাটতিতে পড়েছে।
অগ্রণী কিংবা এক্সিম ব্যাংকের পরিস্থিতির মতোই এখন দেশের বেশির ভাগ ব্যাংকের অবস্থা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ২৫ অক্টোবরের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, দেশের অন্তত ২০টি ব্যাংকের কাছে এলসি দায় মেটানোর মতো কোনো ডলার নেই। আমদানি দায় পরিশোধ করতে গিয়েই ঘাটতিতে পড়েছে এসব ব্যাংক। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় থেকে সংগৃহীত ডলার দিয়েও নিজেদের আমদানি দায় ও গ্রাহকদের বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। এ কারণে আমদানির নতুন এলসি খোলা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাংকগুলো।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- ঘাটতি
- ডলার সংকট
- ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড
- দ্য সিটি ব্যাংক
- অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
- এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড
- ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড
- ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
- ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড
- পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
- প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড
- ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড
- রূপালী ব্যাংক লিমিটেড
- শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
- সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড
- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
- স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড