আইনের শাসনের বৈশ্বিক সূচকে আমাদের অবনমন কেন

যুগান্তর প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০২২, ১১:১৫

গত ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (ডব্লিউজেপি) ‘Rule of Law Index 2022’ বা আইনের শাসন সূচক-২০২২ প্রকাশ করেছে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইনের শাসন কীভাবে কাজ করে এবং এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা কী, তা বুঝতে ১৪০টি দেশের এক লাখ ৫০ হাজার খানা (household) এবং তিন হাজার ৬০০ আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে আইনের সূচক ২০২২ তৈরি করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।


উল্লেখ্য, সংস্থাটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইনের শাসনের এ সূচক প্রকাশ করে আসছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী আইনের শাসন সূচক-২০২২-এর প্রতিবেদনে যেসব তথ্য ও ফাইন্ডিংস এসেছে, তা পর্যালোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।


আইনের শাসনকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে বলা হয়েছে, ‘আইনের শাসন রাষ্ট্রপরিচালনার নীতিবিশেষ, যেখানে সরকারের সব ক্রিয়াকর্ম আইনের অধীনে পরিচালিত হয় এবং যেখানে আইনের স্থান সবকিছুর ঊর্ধ্বে। ব্যবহারিক ভাষায় আইনের শাসনের অর্থ হলো, রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত সরকার সর্বদা আইন অনুযায়ী কাজ করবে, যার ফলে রাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিকের কোনো অধিকার লঙ্ঘিত হলে সে তার প্রতিকার পাবে। মোট কথা, আইনের শাসন তখনই বিদ্যমান থাকে, যখন সরকারি ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অনুশীলন সাধারণ আদালতের পর্যালোচনাধীন থাকে, যে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার অধিকার সব নাগরিকের সমান।’ আইনের শাসনের চারটি মূলনীতি হলো-ক. দায়বদ্ধতা : সরকারি, বেসরকারি উভয় খাতের আইনের নিকট দায়বদ্ধ থাকা; খ. ন্যায়ভিত্তিক আইন : প্রণীত আইন হবে স্বচ্ছ, গণমাধ্যমে প্রকাশের মাধ্যমে যা জনগণের গোচরে আনতে হবে। আইন মানুষের জীবন ও ধনসম্পদ ও মৌলিক অধিকার রক্ষা করবে; গ. উন্মুক্ত সরকার ব্যবস্থা : যে পদ্ধতিতে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা হবে, তা হবে সহজগম্য, সুষ্ঠু ও দক্ষ; ঘ. নিরপেক্ষভাবে বিরোধ মেটানো : দক্ষ, নীতিবান ও স্বাধীন প্রতিনিধির মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি।


আটটি ফ্যাক্টর বা বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আইনের শাসন সূচক-২০২২ তৈরি করা হয়েছে। এগুলো হলো-সরকারি ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা (constraints on government powers), দুর্নীতির অনুপস্থিতি (absence of corruption), উন্মুক্ত সরকারব্যবস্থা (open government), মৌলিক অধিকার (fundamental rights), শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা (order and security), আইন প্রয়োগ (regulatory enforcement), দেওয়ানি বিচার (civil justice) এবং ফৌজদারি বিচার (criminal justice)।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও