শিক্ষায় প্রভাব বাড়ছে বেসরকারি খাতের: ইউনেসকো
বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের ভূমিকা ও প্রভাব বাড়ছে। এখানে প্রাক্-প্রাথমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ৫৫ ভাগই বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত। আর প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ২৪ ভাগ, মাধ্যমিকের ৯৪ ভাগ এবং উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে ৩৬ ভাগ বেসরকারি খাতের।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ইউনেসকোর গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়। বাংলাদেশের এনজিও ব্র্যাকসহ বিভিন্ন দেশের মোট ছয়টি সংস্থা এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষায় অর্ধেকেরও বেশি শিশু নিবন্ধিত স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, এনজিও স্কুল, ধর্মীয় স্কুলসহ বিভিন্ন ধরনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। এ হার সবচেয়ে বেশি প্রাথমিক স্তরে। এই পর্যায়ে কিন্ডারগার্টেন নামে পরিচিত ২৯ হাজার ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান একই ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২২ শতাংশ। বিশ্বের দেশে দেশে মাধ্যমিক শিক্ষায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতির দিক থেকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ৯৪ শতাংশ।
শিক্ষায় বাংলাদেশে জিডিপির আড়াই ভাগের কম ব্যবহার করছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের পর বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা খাতে জিডিপির ২ দশমিক ৫ ভাগের কম ব্যয় করেছে। এটি প্রস্তাবিত ৪ ভাগ থেকে যথেষ্ট কম। এ কারণে সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার মান ঠিক করা কঠিন হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের মোট শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ ভাগ মেটাতে হয় পরিবার থেকে, যা বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ হার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় বেসরকারি খাতের জোরালো অবস্থান রয়েছে। ২০১২ সালে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ছিল তিন হাজার, ২০১৯ সালে তা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজারে। অথচ সরকারি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ শতাধিক। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মান সব সময় একই ধরনের থাকে না। এসব প্রতিষ্ঠানের ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করে। সেখানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাত্র ৩৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী ভালো ফল করে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- বেসরকারি খাত
- শিক্ষা ব্যবস্থা