আনুষ্ঠানিক খাতে রেমিট্যান্স প্রেরণে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর হোক

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০২২, ০৩:০০

সরকারের নানা প্রণোদনা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে না। ৮ লাখ ৭৪ হাজারের ওপর জনশক্তি রফতানি হলেও রেমিট্যান্স প্রবাহে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রেমিট্যান্স কমার প্রধান কারণ মোবাইল ব্যাংকিং ও হুন্ডি। ডলারের বিনিময় হার নিয়ে অস্থিরতার সুযোগে হুন্ডির বাজার জমজমাট হয়ে ওঠায় অভিবাসীরা অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন। যেখানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি কাঙ্ক্ষিত সবার, সেখানে রেমিট্যান্স প্রবাহের অধোগতি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রবাসী আয়ই বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের দ্বিতীয় প্রধান উৎস। উদ্বেগের বিষয় হলো, আনুষ্ঠানিক খাতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে সরকারের প্রণোদনা তেমন সুফল দিচ্ছে না। এর কারণ ডলারের দর। বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিক খাতে ডলারের দর নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং সেটি একেক খাতের জন্য একেক রকম। অথচ ব্যাংকের বাইরে উচ্চ দরে ডলার লেনদেন হচ্ছে। তাছাড়া হয়রানি ও অধিক ব্যয়ের কারণে মানুষ ব্যাংক খাতে অর্থ পাঠাতে অনুৎসাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি রেমিট্যান্স পাঠানোর নানা বিকল্প তৈরি হওয়ার প্রভাব পড়েছে আনুষ্ঠানিক খাতে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কোথায় নীতি ও পরিকল্পনাগত ত্রুটি রয়েছে সেগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে সমাধানে মনোযোগী হওয়া একান্ত প্রয়োজন।


মহামারীকালে দেশে টাকা পাঠানোর অবৈধ চ্যানেল বন্ধ থাকায় ব্যাংকগুলো যে সুবিধা পাচ্ছিল, এখন আবার তা কমতে শুরু করেছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় প্রবাসী কর্মীরা এখন আবার সেই অবৈধ চ্যানেলের দিকেই ঝুঁকতে শুরু করেছেন। বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠাতে এজেন্টরা হাজারে ২০ টাকা চার্জ নেন, যা বাংলাদেশে ১০ থেকে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। বৈধভাবে দেশে টাকা পাঠাতে হাজারে ৩০-৬০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়। অল্প খরচে টাকা পাঠানোর সুযোগ পেয়ে প্রবাসী কর্মীরা মোবাইল ব্যাংকিংকে বেছে নেন। বৈধ পথে টাকা পাঠালে ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলতে হয়, কিন্তু মোবাইলে পাঠানো টাকা স্বজনরা বাড়িতে বসেই পান। গ্রামাঞ্চলে থাকা প্রবাসীদের স্বজনকে কষ্ট করে ব্যাংকে যেতে হয় না। এ কারণে প্রবাসীরা অবৈধ জেনেও কিছুটা সাশ্রয়ের জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠান। খোলাবাজারে (কার্ব মার্কেট) ডলারের দর ব্যাংকের থেকে বেশি থাকায় হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে তুলনামূলক বেশি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে অনেকেই এ অবৈধ পথে টাকা পাঠাচ্ছেন। অনেকে বিদেশে অতিরিক্ত সময় কাজ করেন। এ আয়ের বৈধ প্রমাণ তাদের নেই। এ কারণে চাইলেও ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন না। তাই অবৈধ মোবাইল ব্যাংকিং বেছে নেন। তারা জানান, বিদেশে থাকা এজেন্টদের টাকা দিলে তাদের দেশে থাকা সহযোগীরা মোবাইল অ্যাকাউন্ট থেকে প্রবাসীদের স্বজনকে মোবাইল ব্যাংকে টাকা পাঠিয়ে দেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও