ফরিদ রিকশা চালান, ইউটিউবিংও করেন
ফরিদের গ্রামের বাড়ি পাবনায়। থাকেন রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর এলাকায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর দেখা মেলে নিউ মার্কেট, ঢাকা কলেজ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এলাকায়। তবে রিকশাচালকের বাইরেও তাঁর আরেকটি পরিচয় আছে, তিনি ইউটিউবার।
সারা দিন রিকশা চালিয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়ান আর সেসব জায়গার পরিস্থিতি নিয়েই করেন ভ্লগ। ‘‘প্রিয় বন্ধুরা, আজ আমরা আছি নিউ মার্কেট এলাকায়। এখানে আজ খুব একটা যাত্রী নেই। রাস্তাঘাটেও জ্যামের দেখা মেলে না। জ্যাম নেই আবার যাত্রীও নেই, ব্যাপারটা অদ্ভুত। পাশে রিকশা চালাচ্ছেন আমার এক বন্ধু। এভাবে শুরু করেই ‘কী অবস্থা বন্ধু, কী সমাচার’” বলে হাঁক দেন ফরিদ। ফরিদের ডাক শুনে কথা বলতে শুরু করেন আরেক রিকশাচালক। এভাবেই এগিয়ে চলে ফরিদের রিকশা ভ্লগ।
অনলাইনে ফরিদের পথচলা অনেক আগে থেকেই। বছর এগারো আগে থাকতেন পাবনা শহরে। সেখানে এক বন্ধুর ফটোগ্রাফির দোকানে নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল তাঁর। সেই দোকানে থাকা ক্যামেরায় ফরিদের ভিডিও তৈরির হাতেখড়ি। এরপর জীবিকার তাগিদে ঢাকা চলে আসেন। প্রথমে ইমোতে গ্রুপ খুলে ভিডিও আপলোড করতেন। গেল মে মাসে হঠাৎ করে ফেসবুকে সরব হন। ভ্ল্লগিং চ্যানেলের মাধ্যমে তুলে ধরতে শুরু করেন তাঁর দৈনন্দিন কাজকর্মের সব কিছু। ইউটিউবে ফরিদের চ্যানেলের নাম RK Farid 1339। চ্যানেলের নাম RK কেন সেসব নিয়ে খুব একটা জুতসই জবাব ফরিদের কাছে না থাকলেও এই নামে এখন প্রচুর ফেক পেজ তৈরি হয়েছে, যেগুলো নিয়ে বিরক্ত তিনি।