শ্রীলঙ্কা যেন ‘একাদশ মিলে করি কাজ’
ক্রিকেটে সুপারস্টার বললে যাঁদের নাম আসে, এ মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা দলে তেমন কেউ নেই। একাদশে মিলে করি কাজ—এটাই এখন শ্রীলঙ্কা দলের মূলনীতি এবং এ নীতি মেনেই সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটা। আফগানিস্তানের কাছে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর পর টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে লঙ্কানরা। এই পাঁচ ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন শ্রীলঙ্কান চার খেলোয়াড়। বোঝাই যাচ্ছে, দলটা নির্দিষ্ট কারও পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভরশীল নয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাই শ্রীলঙ্কার ওপর আলাদা দৃষ্টি রাখতেই হবে।
ব্যাটিং লাইনআপ যথেষ্ট গভীর শ্রীলঙ্কার। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, চামিকা করুনারত্নে ও দাসুন শানাকার মতো একঝাঁক অলরাউন্ডার দলে। এর মধ্যে ৬, ৭ ও ৮ নম্বরে ব্যাট করেন শানাকা, হাসারাঙ্গা ও করুনারত্নের মতো স্ট্রোক মেকার। টপ অর্ডার তাই খেলতে পারে নিশ্চিন্তে, খুবই স্বাধীনভাবে, যে স্বাধীনতা অন্য অনেক দলেরই নেই। দুই ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস এশিয়া কাপেও খেলেছেন দারুণ। অস্ট্রেলিয়ায় সেই ফর্মটা টেনে নিতে পারলেই হয়।
টি-টোয়েন্টির জন্য একেবারে মানানসই দুজন স্পিনার আছেন শ্রীলঙ্কা দলে—হাসারাঙ্গা ও মহীশ তিকশানা। পাওয়ারপ্লে হোক, মাঝের ওভার কিংবা ডেথ ওভার, দুজনের হাতেই ইনিংসের যেকোনো সময় নিশ্চিন্তে বল তুলে দেওয়া যায়। সঙ্গে দরকার পড়লে দু-এক ওভারে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার স্পিনও দেখা যেতে পারে। স্পিন ধরছে, এমন উইকেটে তাঁরাই হতে পারেন শ্রীলঙ্কার তুরুপের তাস।