দেশে বছরে একজন গড়ে ডিম খেতে পায় ১৩৬টি
ডিমকে বলা হয় পরিপূর্ণ খাদ্য। সারা পৃথিবীতে যে কয়টি খাদ্যকে সুপার-ফুড হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়- তার মধ্যে ডিম অন্যতম। দেশে গত ১২ বছরে ডিমের উৎপাদন বেড়েছে ৩০৭ শতাংশেরও বেশি। অব্যাহত উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে ডিমের বাৎসরিক প্রাপ্যতা বেড়ে হয়েছে মাথাপিছু ১৩৬টি।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী, তিন দশকে বিশ্বে ডিমের উৎপাদন প্রায় ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯-১০ সালে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ৫৭৪ দশমিক ২৪ কোটি। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৩৫ দশমিক ৩৫ কোটিতে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু ডিম খাওয়ার সংখ্যা ছিল ১২১টির অধিক। বর্তমানে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬টিতে। সুস্থ থাকার জন্য প্রতিটি মানুষের বছরে নূন্যতম ১০৪টি ডিম খাওয়া প্রয়োজন।
১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত আইইসি ভিয়েনা কনফারেন্স থেকে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী চলছে একটি ইতিবাচক ক্যাম্পেইন। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিমের প্রয়োজনীয়তার বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবারে বিশ্বজুড়ে উদযাপন হচ্ছে ‘বিশ্ব ডিম দিবস’। এবারের ডিম দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্রতিদিন একটি ডিম, পুস্টিময় সারাদিন’।