বন্ধ করার পরও গোপনে হয়েছে ৭৪% বাল্যবিবাহ
সাতক্ষীরার তালায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যাচ্ছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ বন্ধ করার পর আবার গোপনে বাড়িতে কিংবা অন্যত্র নিয়ে মেয়েদের বাল্যবিবাহ দিয়ে দিচ্ছেন অভিভাবকেরা। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত তালা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় যেসব বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছিল, তার ৭৪ শতাংশই পরে বিয়ে হয়ে গেছে।
তালা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই সময়ের মধ্যে উপজেলায় ৮৮টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবের ২৭ জন সদস্য দিয়ে বন্ধ করা বাল্যবিবাহ সম্পর্কে একটি জরিপ চালানো হয়। জরিপের ফল বলছে, ২০২১ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের গত জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বন্ধ করা ৮৮টি বাল্যবিবাহের মধ্যে ৬৫টি বিয়ে হয়ে গেছে। এর মধ্যে আবার ছয়জনের বিবাহবিচ্ছেদও ঘটেছে।
বাল্যবিবাহ বন্ধ নিয়ে কাজ করে প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংগঠন। এর নির্বাহী পরিচালক শম্পা গোস্বামী প্রথম আলোকে, শুধু প্রশাসন কিংবা বেসরকারি সংস্থা দিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা কঠিন বিষয়। তিনি মনে করেন, সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীরা বেশি বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। সবার আগে প্রতিদিন শ্রেণিকক্ষে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে ছাত্রীদের সচেতন করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- বাল্যবিবাহ