![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2022-10%252Fdf7fe5e8-c283-4546-bc9a-b424f58d1401%252Fchina.jpeg%3Fauto%3Dformat%252Ccompress%26format%3Dwebp%26w%3D640%26dpr%3D1.0)
যেসব কারণে জড়সড় চীনের অর্থনীতি
অর্থনৈতিক অবস্থা ও বৈদেশিক নীতি নিয়ে চীন দেশটি গত শতকের ষাটের দশকেও বিশ্বের প্রধান পরাশক্তিগুলোর উপহাসের পাত্র ছিল। তখন যুক্তরাষ্ট্রের জঙ্গি বিমানগুলো প্রতিনিয়ত চীনের আকাশসীমা লঙ্ঘন করত। এর প্রতিক্রিয়ায় চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিপলস ডেইলিতে কেবল সাবধানবাণী ছাপা হতো। সেসব সাবধানবাণীর আবার ক্রমিক নম্বর থাকত। আগের প্রদত্ত সাবধানবাণীর নম্বর যদি ১০৯ হয়ে থাকে, তাঁর পরবর্তী নম্বর হতো ১১০। যেমন চীন তাঁর আকাশসীমা লঙ্ঘনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ১১০তম সাবধানবাণী জানিয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ফারুক চৌধুরী, যিনি যৌবনে চীনের পাকিস্তান দূতাবাসে কাজ করেছেন, তাঁর আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘জীবনের বালুকাবেলা’য় এ রকম তথ্য পাওয়া যায়। তাঁর ভাষায়, এমন সাবধানবাণী নিয়ে কূটনৈতিক মহলে নানা গল্প প্রচলিত আছে। এক চীনা ভদ্রলোক বাসায় ফিরে তাঁর স্ত্রীকে আরেকজন পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পান। ভদ্রলোকটি তখন গম্ভীর মুখে স্ত্রীর প্রতি সাবধানবাণী উচ্চারণ করলেন, ‘আমি এতদ্দারা তোমাকে আমার ১১০তম ওয়ার্নিং প্রদান করিতেছি।’ তবে চীনকে নিয়ে এমন টিপ্পনির দিন শেষ হয়েছে বহু আগেই। চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান অর্থনীতির দেশ, পুঁজিবাদী বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম প্রভাবশালী রাষ্ট্র।