বিকল্প মুদ্রা কতটা সম্ভব?
আন্তর্জাতিক লেনদেনে ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বিকল্প মুদ্রা নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ। ইউরো বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এখন চীনা মুদ্রা ইউয়ান, রাশিয়ান রুবল এবং ভারতীয় রুপি নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এরইমধ্যে চীনা মুদ্রায় এলসি খোলার অনুমতি দিয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে চীনা মুদ্রার ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। তারা বিদেশে প্রতিনিধিত্বকারী শাখায়ও একাউন্ট খুলতে পারবে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, এটা কতটা সম্ভব হবে এবং কতটা কাজে আসবে? বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারে তেমন বাধা নেই। তবে এটা কতটা কাজে আসবে সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। যমুনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আমিন মনে করেন, 'আমরা যেহেতু রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করি, তাই চীনা বা ভারতীয় মুদ্রা আমাদের কাছে তো তেমন থাকবে না।'
আর ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং সেন্টার ফর পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'বিকল্প মুদ্রা থেকে আমাদের তো আবার ডলারেই কনভার্ট করতে হবে। তাতে তো তেমন লাভ হবে না।'
বাংলাদেশের মোট আমদানির ৪০ শতাংশই হয় চীন এবং ভারত থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মোট রফতানির ২৬ শতাংশ এবং আমদানির সাড়ে ৩ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। মোট রফতানির ৫৬ শতাংশ এবং আমদানির ৮ শতাংশ হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে।
কোন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের অবস্থা কী সেটা বিবেচনায় রেখে কাজ করছে সরকার।