জিরো ও ডায়েট কোক: পার্থক্য ও শরীরের ওপর এর প্রভাব
স্বাস্থ্যকর খাওয়া খেতে চাইলে প্রথমেই খাদ্য তালিকা থেকে চিনি বাদ দিতে হবে। কোমল পানীয় মোটামুটি সবাই খেয়ে থাকি। আবার অনেকে চিনি বাদ দেওয়ার জন্য জিরো বা ডায়েট কোক খেয়ে থাকেন। জিরো কোক ও ডায়েট কোকের মধ্যে পার্থক্য কী? চলুন জেনে নিই।
►প্রধান পার্থক্য
অনলাইন পোর্টাল মেডিসিন নেট অনুসারে ডায়েট কোক এবং কোক জিরোর মধ্যে তিনটি প্রধান পার্থক্য রয়েছে, তা হলো স্বাদ, ক্যাফেইনের পরিমাণ এবং চিনি। যদিও ডায়েট কোক এবং কোক জিরো দুটিতেই চিনি বা ক্যালোরি থাকে না। তবে তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব স্বাদ রয়েছে। কোক জিরোর স্বাদ আসলে কোকা-কোলার মতোই। তবে ডায়েট কোকের স্বাদ ভিন্ন। ক্যাফেইন ডায়েট কোকে বেশি থাকে। ডায়েট কোককে মিষ্টি করতে কৃত্রিম চিনি অ্যাসপার্টাম ব্যবহার করা হয়। কোক জিরোকে অ্যাসপার্টাম, সেই সঙ্গে এসিসালফেম পটাসিয়াম (এসকে) দিয়ে মিষ্টি করা হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত সোডা পান না করারই পরামর্শ দেন। যাই হোক, আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন বা আপনার ডায়াবেটিস থাকে, তবে এই চিনিমুক্ত কোমল পানীয় পান না করাই ভালো।
►শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে ডায়েট কোক এবং কোক জিরো
ডায়েট কোক এবং কোক জিরোর উপাদানগুলো আমাদের শরীরে কী প্রভাব ফেলে সেটাই চলুন জেনে নিই।
অ্যাসপার্টাম
অ্যাসপার্টাম হলো কৃত্রিম চিনি, যা কোক জিরো এবং ডায়েট কোক উভয়েই যোগ করা হয়। গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে অ্যাসপার্টাম মাথা ব্যথা বা অন্যান্য নেতিবাচক স্বাস্থ্যের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে।
ফসফরিক এসিড
ফসফরিক এসিড হলো একটি অজৈব খনিজ এসিড, যা প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং সোডার মতো পানীয়গুলো সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি এসিডিটিও তৈরি করে। যদিও ফসফরিক এসিডের ওপর গবেষণা সীমিত। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ফসফরিক এসিডযুক্ত সোডা রক্তে এসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে, কিডনি রোগেরও ঝুঁকি বাড়ায়।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- ডায়েট
- কিটো ডায়েট