পিরিয়ড চলাকালে যেসব খাবার খাওয়া উচিত
পিরিয়ডের সময় রক্তের পাশাপাশি শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। এই অভাব পূরণ করতে প্রচুর পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। চা, কফি, কোলা ইত্যাদি দিয়ে এই ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করা ঠিক নয়। পিরিয়ড চলাকালে যেসব খাবার খাওয়া উচিত জেনে নিন:
>> আঁশজাতীয় খাবার শরীরের হজমশক্তি বাড়ায়। বিশেষভাবে পিরিয়ডের সময়। কারণ, এতে আছে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও মিনারেল আছে। সবুজ শাকসবজিতে উচ্চমাত্রায় আঁশ আছে, যা কিনা হজমে সহায়তা করে। খাবার ভালোভাবে হজম হওয়া পিরিয়ডের সময় সুস্থ থাকার অন্যতম অপরিহার্য শর্ত। তাই প্রতি বেলার খাবারে রাখুন সবুজ শাকসবজি ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার।
>>ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। কারণ মাথাব্যথা, পেটব্যাথা, পেশির টানের মতো লক্ষণগুলো কমাতে সাহায্য করে। কলা পটাশিয়ামের অন্যতম ভান্ডার, যা পিরিয়ডের সময় আপনার বিষণ্নতা দূর করে। এছাড়া, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, হোল গ্রেইন খাবার, কলা, মিষ্টি আলু, বিনস, অ্যাভোকাডো ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের অন্যতম উৎস।
>> ভিটামিন বি১২ ও ভিটামিন বি৬ পেট ফাঁপা এবং মুড পরিবর্তন রোধ করে। ব্রকলি, টমেটো, লেবু, কমলা, কর্ণ, ডিম, আখরোট, চিয়া বীজ ইত্যাদি ভিটামিন বি১২ ও বি৬ সমৃদ্ধ খাবার।
>> পিরিয়ডের সময় যেসব খাবারে প্রচুর আয়রন পাওয়া যায়, সেগুলো খেতে হবে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে যেমন মাছ, মাংস, ডিম, কলিজা, কচুশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, ফুলকপির পাতা, ছোলাশাক, ধনেপাতা, তরমুজ, কালো জাম, খেজুর, পাকা তেঁতুল, আমড়া ইত্যাদি। অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা কমানোর জন্য লাল মাংস খুব প্রয়োজনীয়। চর্বি ছাড়া লাল মাংস রাখুন খাবারের তালিকায়।
>> পেয়ারা, আমড়া, আমলকী, লেবু, মাল্টা, জলপাই, জাম্বুরা, পাকা টমেটো, কামরাঙা, পাকা পেঁপে, আনারস ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন সি পাওয়া যায়। পিরিয়ডের সময় এসব খাবার গ্রহণ করা উচিত। শরীরে আয়রনের ঠিকমতো শোষণ ও যথাযথ কার্যকারিতার জন্য ভিটামিন সি প্রয়োজন।
>> ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার পেশিব্যথা, পেটব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। পিরিয়ড চলাকালীন ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। দুধ, দুধজাতীয় খাবার, পনির, টোফু, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সয়া মিল্ক, কাঁটাযুক্ত মাছ ইত্যাদি।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- পিরিয়ডে খাবার