নেই স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান, নির্ধারিত স্থান বস্তিবাসীর দখলে
দেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ শারীরিক নানা ধরনের ব্যথা, ব্যথাজনিত উপসর্গ, প্রতিবন্ধিতা ও পঙ্গুত্বের শিকার। তাদের সুস্থ, স্বাভাবিক ও কর্মক্ষম জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাসেবা। করোনা মহামারির মধ্যে এই চিকিৎসার কদরও বেড়েছে। তবে এখনও ফিজিওথেরাপি শিক্ষার জন্য একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠানে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে ১৩ বছরেও শুরু হয়নি নির্মাণকাজ। এমনকি নির্ধারিত জায়গাটি এখন বস্তিবাসীর দখলে।
এমন পরিস্থিতিতে ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব তুলে ধরতে প্রতিবছরের মতো আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য 'অস্টিওআর্থ্রাইটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধ উভয়টিতেই ফিজিওথেরাপি সমান কার্যকরী'। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএস) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
ফিজিওথেরাপিস্টরা বলছেন, প্রতিটি চিকিৎসা ব্যবস্থায় একটি স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকে। মেডিকেল শিক্ষা বাস্তবায়নে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল ও কলেজ রয়েছে। সেখানে তাদের পড়াশোনা ও ইন্টার্নশিপ করার সুব্যবস্থা রয়েছে। তবে ফিজিওথেরাপি শিক্ষা ও চিকিৎসার প্রসারে এমন কোনো উদ্যোগ নেই সরকারের। জনসাধারণে চিকিৎসার স্বার্থে দেশে ফিজিওথেরাপি শিক্ষা ও চিকিৎসার প্রসার প্রয়োজন। দীর্ঘদিনের দাবির পরও এটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ফিজিওথেরাপি শিক্ষা। সেবাবঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, কোনো এক অদৃশ্য কারণে আটকে আছে নির্মাণকাজ। কবে নাগাদ কাজ শুরু, সেটাই জানা নেই তাদের।
সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফিজিওথেরাপি শিক্ষার জন্য বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি নামে একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান স্থাপনে রাজধানীর মহাখালীতে ৫ দশমিক ২৮ একর জমি দেয় সরকার। ২০০৯ সালে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। নির্মাণকাজ শুরু হতে দেরি হওয়ায় কয়েকবার আন্দোলন করেছেন ফিজিওথেরাপিস্টরা। বর্তমানে জায়গাটি বস্তিবাসীর দখলে। তাদের উচ্ছেদ করে কলেজ স্থাপনের জন্য আদালত থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে সব ফাইল চাপা পড়ে আছে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- মেডিকেল কলেজ
- ফিজিওথেরাপি