দীর্ঘদিন পর কয়লা উত্তোলনের পরিকল্পনা করছে সরকার
দেশের পাঁচটি কয়লা খনির মধ্যে উত্তোলন হচ্ছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া থেকে। খনিটিতে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৫ সালে। অনেক আগে আবিষ্কার হলেও অন্য চারটি খনি থেকে উত্তোলন নিয়ে জোরালো কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি এতদিন। চলমান জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষাপটে ব্যয় সাশ্রয়ের পথ খুঁজতে এখন খনিগুলো থেকে কয়লা উত্তোলন শুরুর পরিকল্পনা করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের দীঘিপাড়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের তোড়জোড় শুরু করেছে পেট্রোবাংলা।
এরই মধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দিয়ে দীঘিপাড়া খনিতে কয়লার প্রকৃত মজুদ, উত্তোলন খরচ, সম্ভাব্য পদ্ধতি নিরূপণসহ প্রাথমিক কিছু কাজ শেষ হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে গৃহীত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি কয়লা আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে বলে প্রত্যাশা করছেন জ্বালানি বিভাগ-সংশ্লিষ্টরা।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গিয়েছে, জার্মানিভিত্তিক মিবরাগ কনসাল্টিং ইন্টারন্যাশনাল, নেদারল্যান্ডসভিত্তিক ফুগরো এবং অস্ট্রেলিয়ার রাঞ্জ পিনকক মিনারকোর যৌথ কনসোর্টিয়াম দীঘিপাড়া কয়লা খনির পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেছে। কনসোর্টিয়াম দীঘিপাড়া কয়লা খনি থেকে ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের সুপারিশ করেছে। কনসোর্টিয়ামের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দীঘিপাড়া কয়লা খনিতে সম্ভাব্য মজুদের পরিমাণ ৭০ দশমিক ৬ কোটি টন। বছরে ৩০ লাখ টন হিসাবে ৩০ বছরে খনিটি থেকে নয় কোটি টন কয়লা উত্তোলন করা যাবে। এ কয়লা উত্তোলন করতে ব্যয় হবে প্রতি টনে ১৬০ ডলার।