আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের প্রভাব নেই চালের বাজারে
অস্থিতিশীল চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানি করতে পারবে মাত্র ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে। সরকারের প্রত্যাশা এবার বাজারেরও চালের দাম কমবে।
কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছে, বাজারে এর প্রভাব পড়তে কমপেক্ষ এক সপ্তাহ লাগবে। নতুন আমদানি করা চল বাজারে না এলে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশ রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ আলম বাবু ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আরও আগে নেওয়া উচিৎ ছিল। কারণ ডলার ও ডিজেলের দাম বাড়ায় এখন আমদানিতেও খরচও বেশি। তিনি বলেন, আমদানি চাল বাজারে আসতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী ও বাড্ডা-রামপুরার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা প্রতিকেজি। ২৮-২৯ নম্বর চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৯৫ টাকা (মান ভেদে) কেজিতে। নাজির বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। আর চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে। বাসমতি, আতপচাল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।