চট্টগ্রাম সিটি: পৌর করের ২৩৪ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৩৩ মন্ত্রণালয়
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) অধীন অধিকাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করছে না পৌর কর। সাধারণ ভবন মালিকের চেয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পৌর কর (গৃহকর ও রেইট) পরিশোধ না করার প্রবণতা বেশি। বকেয়া পরিশোধে বারবার তাগাদা দিলেও সাড়া মিলছে না বলে জানিয়েছেন চসিকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ৩৩ মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চসিকের বকেয়া পৌর করের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩৪ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি বকেয়া পড়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
তারা আরও বলছেন, গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১৯৩ কোটি ৮ লাখ ৬১ হাজার ৯০৭ টাকা পৌর কর আদায় করে চসিক। এর মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মালিকানাধীন হোল্ডিং থেকে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫৪ শতাংশ। সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় হয়েছে ৪৭ শতাংশ।
বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২ লাখ ৪ হাজার ৯৫১টি হোল্ডিং আছে। এর মধ্যে সরকারি ১ হাজার ৫১৬টি এবং বেসরকারি হোল্ডিং আছে ২ লাখ ৩ হাজার ৪৩৫টি।
সরকারি এই ১ হাজার ৫১৬টি ভবনের ২৩৩ কোটি ৮৪ লাখ ৪২ হাজার ১৯০ টাকা পৌর কর বকেয়া পড়েছে।
এর মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বেশি, ১১০ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার ৩১৮ টাকা বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের ২৯ কোটি ৫৯ লাখ ৬২ হাজার ৫৪৩ টাকা। ২০২১-২০২২ অর্থবছর পর্যন্ত বকেয়া দাবি রয়েছে ৮১ কোটি ৩৫ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৫ টাকা।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত চসিকের পাওনা ২৯ কোটি ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার ৬১২ টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের কাছে ১০ কোটি ৯৫ লাখ ২৩ হাজার ৩০৯ টাকা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের কাছে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ৭৫ টাকা। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কাছে ৭ কোটি ৫৭ লাখ ৯৫ হাজার ৬৩২ টাকা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন জননিরাপাত্তা বিভাগের কাছে ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৬ হাজার ৩১৮ টাকা এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগের কাছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ১৯২ টাকা বকেয়া রয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের কাছে বকেয়া রয়েছে ৭ কোটি ২২ লাখ ২৯৫ টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬ কোটি ২৮ লাখ ২ হাজার ৪৫২ টাকা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৮ হাজার ২৯ টাকা এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কাছে ৩ কোটি ২৬ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮৬ টাকা।