দু–তিন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমবে
ডলারের দাম বেড়ে মূল্যস্ফীতিতে যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা আগামী দু–তিন মাসের মধ্যে কমে আসবে বলে আশা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বড় ধরনের উদ্বেগ নেই। এখন যে মূল্যস্ফীতি, তা আমদানির কারণে। তেল ও সার কিনে আনতে হয়। তেলের দাম বেড়েছে। সার বিকল্প উপায়ে কম দামে কেনার চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক যে পদ্ধতিতে এগোচ্ছে, তা ভালোর দিকে আছে।
রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ‘নবম বার্ষিক ব্যাংকিং কনফারেন্স’–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। দুদিনব্যাপী সম্মেলন আজ রোববার শেষ হবে।
গভর্নর বলেন, অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তাতে দু–তিন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
গত কয়েক মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম ৮৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ টাকা করেছে। তবে ব্যাংকগুলোতে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে ১০৫ টাকায়। ডলারের দামের কারণে পুরো অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয়েছে। ডলার লেনদেনে অতিরিক্ত মুনাফা করায় দেশীয় ও বহুজাতিক ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ বিষয়ে পরবর্তী কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তা জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ হলে কথা বলব।’ গভর্নর বলেন, ব্যাংক শুধু মুনাফাই করবে না, সুশাসনের চর্চাও অব্যাহত রাখবে, নইলে পুরো খাতটিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিআইবিএমের বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবিব। বৈদেশিক মুদ্রাবাজার যে চাপে রয়েছে, তা উঠে আসে তাঁর প্রবন্ধে। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক আকতারুজ্জামান।