![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fwww.jagonews24.com%2Fog-image%2Fcountry%3Ffile%3Ddefault%26imgPath%3D2019November%2Fsh-20220827185005.jpg)
বিয়ে নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, প্রেমিকের মরদেহ উদ্ধার
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় বিয়ে নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে রাগ করে সারোয়ার হোসেন কাজল (২৮) নামের এক যুবকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। তবে পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তাকে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। কাজল উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের প্রিয়কাঠি গ্রামের আলী আফজাল খানের ছেলে। তিনি অপসনিন ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির মেডিকেল প্রমোশন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার প্রেমিকা সিথীন (২০) একই উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নের শিধলকুড়া গ্রামের খলিল বাঘার মেয়ে।
ধানকাঠি গ্রামে মামা মামুন আনসারীর বাড়িতে থেকে শরীয়তপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেন তিনি। প্রেমিকা সিথীন বলেন, ‘আমি ছোট থেকেই মামাবাড়িতে থাকি। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কাজলের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। শুক্রবার বিকেলে কাজল আমাকে নিয়ে মাদারীপুর ঘুরতে যায়। পরে সন্ধ্যায় আমরা মামাবাড়িতে আসি। রাতে এক সঙ্গে খাবার খেতে বসি। বিয়ের বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আমার সঙ্গে রাগ করে সে ঘরে বাইরে চলে যায়। কিছু সময় পর আমি বাইরে গিয়ে দেখি জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে সে ঝুলে আছে। আমি তখন দড়িটা কেটে দেই। পরে প্রতিবেশীর সহযোগিতায় তাকে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। ডাক্তার বলে কাজল মারা গেছে।’ কাজলের ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কাজলের সঙ্গে সিথীনের সম্পর্ক ছিল। কাজল আত্মহত্যা করে নাই। শুক্রবার রাতে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছ তারা। আমি এ হত্যার বিচার চাই।’ ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।