এবার চিনির বাজারে অস্থিরতা
কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে ভোজ্যতেল, গমসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দেয়। ফলাফল হিসেবে বেড়ে যায় দাম। এর প্রভাব পড়ে আমদানিনির্ভর দেশগুলোতে। চলতি বছরের শুরুতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে তোলে। তবে এতদিন এসবের বাইরে ছিল চিনির সরবরাহ ও দাম। কিন্তু সবচেয়ে বেশি চিনি উৎপাদনকারী দেশগুলোতে খরার কারণে উৎপাদন কমে যাওয়া, বিভিন্ন দেশ নিজস্ব পণ্য রফতানি সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়াসহ বিভিন্ন কারণে চিনির বাজারও অস্থির হয়ে উঠতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে বেড়ে গিয়েছে অপরিশোধিত চিনির বুকিং দর। যার রেশ পড়েছে বাংলাদেশের বাজারেও। এক মাসের ব্যবধানে দেশে পাইকারি পর্যায়ে চিনির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৬-৭ টাকা, খুচরায় যা আরো বেশি।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত দেশে প্রতি বছর ২০-২২ লাখ টন চিনি আমদানি করা হয়। তবে সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে মাত্র ১৭ লাখ টন। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে চিনি আমদানি হয়েছিল ২১ লাখ টন। এক বছরের ব্যবধানে ৪ লাখ টন চিনি কম আমদানি হওয়ায় সরবরাহ সংকটে পড়েছে দেশের প্রধান বেসরকারি রিফাইনারি মিলগুলো। পাশাপাশি দামও বেড়েছে।