ঝুঁকিতে দেশের সাইবার স্পেস, নিরাপত্তায় করণীয় কী?
সাইবার হামলায় চরম ঝুঁকিতে দেশের প্রযুক্তিখাত। ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কয়েক মাস ধরে এ হামলার সম্মুখীন। এ হামলার পেছনে অন্য দেশের ইন্ধনও দেখছেন কেউ কেউ। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এ হামলা ঠেকানোর সক্ষমতা নিয়ে। সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-গভ সার্ট) থেকে সতর্কবার্তা পাঠানোকে ‘ভিতরে আরও বড় ঘটনা’ থাকতে পারে বলে মত তাদের।
এভাবে সাইবার হামলা হলে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ব্যাপারে সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-গভ. সার্ট) সতর্ক রয়েছে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন দপ্তরেও সতর্ক করে বার্তা পাঠিয়েছে। কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের সতর্কতা জারির বিষয়টি সামনে আসার পর ভেতরে ভেতরে অনেক কিছু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
দেশে সম্প্রতি ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়েল অব সার্ভিস (ডি ডস) সাইবার আক্রমণ দেখা গেছে জানিয়ে সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসহ সব গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সব সংস্থা যেন যথাযথ পদক্ষেপ নেয়— সে অনুরোধ জানানো হয়েছে। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপন বা হালনাগাদ করে সঠিক ‘অ্যান্টি–ডি ডস প্রটেকশন থ্রেশোল্ড’ লিমিট সেট করার জন্য সুপারিশ করেছে তারা।
জানা যায়, ডি ডস এক ধরনের সাইবার হামলা। এর মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বটনেট দিয়ে নির্দিষ্ট কোনো আইটি অবকাঠামোতে হামলা চালায়। লক্ষ্য ওই আইটি অবকাঠামোকে নিয়মিত সেবাদানে বাধা দেওয়া। তবে এর চেয়েও মারাত্মক মামলার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। অথচ ডি ডস নিয়ে আলোচনাকে অনেকেই হাস্যকর মনে করছেন।
করোনা মহামারির পর বৈশ্বিক আর্থিক মন্দার কারণে সাইবার অপরাধীরা খুবই সক্রিয়। কোনো কোনো রাষ্ট্রের মদতেও এ হামলা হয় বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেটা কেন্দ্র করেও কোনো চক্র অপতৎপরতা চালাতে পারে।