যকৃতের জন্য উপকারী সবজি
হজমে সহযোগিতা করা, খাবারের বিপাক ঘটানো, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সংরক্ষণ, রক্ত থেকে বিষাক্ত উপাদান পরিশোধন, ‘প্রোটিন সিনথেসিস’ ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক কার্যক্রমের দায়িত্ব হল যকৃতের ওপর। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এই অঙ্গ নিজেই তার ক্ষয়পূরণ করতে সক্ষম। তাই বলে যকৃত যে কখনই নষ্ট হতে পারে না এমন ধারণা ভুল। আর আমাদের খাদ্যাভ্যাসই তা নষ্ট হওয়ার মুল কারণ।
যকৃতের জন্য উপকারী খাবার আছে অনেকগুলোই। এরমধ্যে শাকসবজি ঘরানার খাবারই বেশি। এদের মধ্যে কয়েকটি খাবারকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন পুষ্টিবিদরা।
যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ মেলিসা রিফকিন ‘ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এরকমই কয়েকটি সবজির কথা জানিয়েছেন।
বিট: ভিন্নমাত্রার স্বাদের কারণে অনেকেই এই সবজি খেতে অপছন্দ করেন। তবে যকৃতের জন্য উপকারী পুষ্টি উপাদানে ঠাঁসা এই বিট।
কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ‘কার্সিনোজেনস’য়ের আক্রমণ থেকে সরাসরি যকৃতকে সুরক্ষা দেয় এই সবজির রস।
লাল বিটরুটে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যাকে বলা হয় ‘বিটালেইন’, এর আছে ‘অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক’ এবং প্রদাহরোধী গুণ। তবে অন্যান্য রংয়ের বিটরুটে এই উপাদান এত বেশিমাত্রায় পাওয়া যায় না্।
ব্রকলি: কপি ঘরনার সবজির আরেক নাম ‘ক্রুসিফেরাস’। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি এই জাতের সবজির মধ্যে পড়ে। সব ধরনে সবজি শরীরের জন্য উপকারী, তবে কপি ঘরানার সবজি, বিশেষ করে ব্রকলি যকৃতের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
যারা নিয়মিত ব্রকলি খায়, তাদের ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (এনএএফএলডি)’ এবং যকৃতের টিউমার দেখা দেওয়ার আশঙ্কা কমে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়।
ব্রকলির ঠিক কোন পুষ্টি উপাদান এই উপকারিতা যোগায় তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। কাঁচা কিংবা সিদ্ধ, দুভাবেই ব্রকলি খাওয়া যায় এবং সমান উপকারিতা মিলবে।
ব্রাসেল স্প্রাউটস: এটিও ‘ক্রুসিফেরাস’ পরিবারের সদস্য। অনেকে ছোট বাঁধাকপিও বলেন। হজমে সহায়ক এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যোগায় এই সবজি। এমনকি রান্না করার পরও ‘ব্রাসেলস স্প্রাউট’য়ের ‘ডিটক্সিফাইং এনজাইম’য়ের কার্যকারিতা থাকে অটুট।
‘গ্লুকোসিনোলেটস’ নামক একটি অসাধারণ উপাদান থাকে এই সবজিতে, যা শরীর থেকে ‘কারসিনোজেনিক’ উপাদান অপসারণ করে।
পত্রল সবুজ সবজি: সবজির এই ধরনের মধ্যে আছে কেইল, পালংশাকসহ নানান ধরনের সবুজ শাক। যা সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য আবশ্যক। এগুলোতেও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে তা শরীরকে মুক্ত মৌলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখে।
বিশেষ করে পালংশাক যকৃতের জন্য বেশি উপকারী। ‘নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ থেকে যকৃতকে সুরক্ষিত রাখে এই শাক।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- সবজি
- যকৃতের সমস্যা