কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


নানা ছুতায় বাড়ে সবজির দাম

সবজির বাজারে এখন আগুন। জ্বালানি তেল ও ইউরিয়া সারের দাম যত বেড়েছে, তার চেয়ে বহুগুণ বেড়েছে সবজির দাম। সবজির দামের এই ঊর্ধ্বগতির জন্য কৃষক ও পাইকারেরা খুচরা ব্যবসায়ীদের দুষছেন। তাঁদের অভিযোগ, কয়েক হাত ঘুরে সবজি বেচাকেনার কারণে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দামের অস্বাভাবিক তারতম্য ঘটে। নানা ছুতায় বাড়ানো হয় সবজির দাম। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েন ভোক্তারা, দাম কম পান উৎপাদকেরা, কিন্তু লাভবান হন মূলত মধ্যস্বত্বভোগীরা।

সবজিভান্ডারখ্যাত যশোর ও বগুড়া থেকে ঢাকার বাজারে সবজির সরবরাহও কমে গেছে। সবজি বেচে লাভ কমে যাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী ঢাকায় সবজি পাঠাতে চাইছেন না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনাবৃষ্টিতে সবজির চাষ কম হওয়ায় এবং ফলন বিপর্যয়ে বাজারে সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যে কারণে দামও বেড়েছে।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার বগুড়া এবং যশোরের বড় দুটি পাইকারি সবজির বাজার ঘুরে কৃষক, ব্যবসায়ী ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে প্রথম আলোর এই দুই প্রতিবেদক এমন চিত্র পেয়েছেন।

হাতবদল কম হলে সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে উল্লেখ করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবজির উৎপাদনকেন্দ্র থেকে বিক্রয়কেন্দ্রের দূরত্ব কমাতে হবে। তাহলে বাড়তি পরিবহন ব্যয় ক্রেতার ওপরে পড়বে না। এ জন্য সমবায় সমিতির মাধ্যমে উৎপাদন পর্যায় থেকে সবজি সরাসরি বাজারজাত করা গেলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে, কৃষক দাম পাবেন। রাজধানীর আশপাশের এলাকায় সবজি আবাদের বলয় গড়ে তোলা গেলে বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে।’

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার আগে-পরে
যশোরের বারীনগর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার ২৫ ট্রাক সবজি ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির আগে ৩৮ থেকে ৪০ ট্রাক সবজি পাঠানো হতো। সে হিসাবে প্রতি হাটে অন্তত ১৫ ট্রাক করে সবজি পাঠানো কমেছে।

হাটের ইজারাদার ও সবজির ব্যাপারীরা বলছেন, পাঁচ টনের এক ট্রাক সবজি যশোর থেকে ঢাকার কারওয়ান বাজারে নিতে ট্রাকভাড়া ২০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। ডিজেলের দাম বাড়ার আগে যার ভাড়া ছিল ১৬ হাজার টাকা। সবজি প্যাকেজিং, গ্রেডিং করে ট্রাকে ওঠানো-নামানোর জন্য যে শ্রমিকের দৈনিক মুজরি ছিল ৩০০ টাকা, তাঁদের এখন দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা। প্রতি কেজিতে এক থেকে দুই টাকা খরচ বেড়েছে। যে কারণে ঢাকায় নিয়ে সবজি বিক্রি করে লাভ থাকছে সীমিত।

পরিবহন ও শ্রমিক খরচ বেশি হওয়ায় যশোরের সবজি ঢাকায় নিয়ে প্রতিযোগিতায় টেকা যাচ্ছে না। সে তুলনায় ঢাকার আশপাশের কেরানীগঞ্জ, মানিকগঞ্জের সবজির পরিবহন খরচ অনেকটা কম। এ কারণে যশোরের মোকামে বাইরের ব্যাপারীদের আসা অনেকটা কমে গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন