মজবুত ও সুস্থ হাড় পেতে প্রথম থেকেই সচেতন হোন
হাড় হচ্ছে শরীরের ভিত। বয়স ৩০ হওয়ার আগেই আমাদের হাড়ের যত্ন নেওয়া জরুরি। কারণ ত্রিশের পর মানুষের হাড়ের ঘনত্ব আর বাড়ে না। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরো কমতে থাকে। তাই সুস্থ ও মজবুত হাড় পেতে ছোটবেলা থেকে আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। অল্প বয়সে অর্জিত হাড়ের ঘনত্ব, স্থিতিস্থাপকতা ও প্রয়োজনীয় নানা খনিজ উপাদানের ওপর শরীরের হাড়ের সুস্থতা নির্ভর করে।
খনিজ উপাদানের গুরুত্ব
হাড়ের সুস্থতায় ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ও নারীর ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা উচিত। ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ছোট মাছ ও সামুদ্রিক মাছ, সবুজ শাক, বাদাম ইত্যাদি। শিশুর বয়স ছয় মাস পেরোনের পর থেকেই এ জাতীয় ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়াতে শুরু করতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা নারী, নবজাতকের মা এবং মেনোপজের পর নারীদের ক্যালসিয়াম গ্রহণের মাত্রা বাড়াতে হবে।
ভিটামিন ‘ডি’
হাড় মজবুত রাখতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘ডি’ দরকার। সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। এ জন্য দিনের কিছুটা সময় রোদে হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করা উচিত। এ ছাড়া প্রতিদিনের খাবার পাতে তৈলাক্ত মাছ, মাশরুম, ডিম রাখতে পারেন। এসব খাবার থেকেও ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
নিয়মিত ব্যায়াম
হাড়সন্ধিকে মজবুত করতে নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই। ভারোত্তোলন, দৌড়ানো, হাঁটা, স্টেচিংসহ নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম করলে হাড় ক্ষয় বা ভঙ্গুর হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে। এজন্য অল্প বয়স থেকেই ব্যায়ামের অভ্যাস গড়তে হবে।
ধূমপান পরিহার
হাড় সুস্থ রাখতে চাইলে ধূমপান করা যাবে না। ধূমপানের কারণে হাড়ের ভঙ্গুরতার হার বেড়ে যায়। অল্প বয়সেই হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে। এ ছাড়া অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, বিভিন্ন কার্বোনেটেড পানীয় পানের কারণে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সুস্থ ও মজবুত হাড়ের অধিকারী হতে চাইলে এসব খাওয়া পরিহার করতে হবে।