ইমোজির ইশারায় অনেক কিছু বোঝালেন তামিম-মুশিরা
২০১৫ সালে অক্সফোর্ড ডিকশনারি একটি ইমোজিকে (তালিকায় প্রথমটি) তাদের বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে ঘোষণা করে। অর্থাৎ মনের ভাব প্রকাশে ইমোজি এখন শব্দের মতোই, কখনো কখনো শব্দের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। এসব নেটিজেনদের ভালোই জানা।
তারকা খেলোয়াড়েরাও এখন ইমোজি ব্যবহার করছেন অনেক না বলা কথা বোঝাতে। এই যেমন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা শব্দ ব্যবহার না করে ইমোজির সাহায্যে মনের অব্যক্ত কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলে ফেললেন।
শুরুটা হয়েছিল তামিম ইকবালকে দিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর ফেসবুকে বিদায়ের একটা ইঙ্গিত দিয়ে পোস্ট করেছিলেন তিনি। অবশ্য ১০ মিনিটের মধ্যে সেই পোস্ট সরিয়েও নিতে দেখা যায় বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ককে। কিছুদিন যেতেই উইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর টি-টোয়েন্টি সংস্করণ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলেন তামিম।
আলোচনা-সমালোচনায় নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পছন্দ করেন মুশফিকুর রহিম। সংবাদ সম্মেলন কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সব জায়গায় নিজেকে আলোচনায় রাখেন তিনি। কদিন আগে ভোরবেলায় মিরপুরে অনুশীলন করতে এসে ঘুমের একটি ইমোজি পোস্ট করেন তিনি। সে সময় সিনিয়রদের বাদ দিয়ে সোহানের নেতৃত্বে দল যাচ্ছিল জিম্বাবুয়েতে৷ তার আগে এই রহস্যময় ছবি ও ইমোজি৷ পরে তাঁকে নিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজনের প্রতিক্রিয়া, ঘরের সমস্যার কথা কি অফিসে এসে আমরা বলি?
তামিম-মুশফিকের পর ইমোজিতে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে ইমরুল কায়েসকে। ইমরুল অনেক দিন হলো দলের বাইরে৷ তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পাশে এখন বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন৷ জাতীয় দলের ত্রাহি দশা দেখে ইমরুল কি তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলেন? সম্প্রতি ‘এ’ দলের উইন্ডিজ সফরেও জায়গা হয়নি তাঁর। জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশের পরপর দুই সিরিজ হারে হাসির কয়েকটি লজ্জা ও হাসির ইমোজি এক করে পোস্ট দিতে দেখায় যায় তাঁকে। পোস্টটি সরিয়ে পরে আইডি হ্যাক হয়েছে বলে একটি পোস্ট করতে দেখা যায় এই ক্রিকেটারকে।