কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবি চা শ্রমিকদের

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সংগতি রেখে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে মৌলভীবাজারের জুড়ী ও লংলা ভ্যালির চা-বাগানে দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে তারা। এ সময় কয়েকটি স্থানে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার মোট ৩৬টি বাগানে কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।

আগামীকালও (বৃহস্পতিবার) এ কর্মসূচি চলবে।

শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, চা-শ্রমিকদের সংগঠন চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে চা-বাগানের মালিকপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা-সংসদের করা চুক্তি অনুযায়ী, চা-শ্রমিকদের মজুরিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ হয়। প্রতি দুই বছর পর পর এ চুক্তি সম্পাদনের কথা। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন হয়। ওই চুক্তিতে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আর নতুন করে চুক্তি হয়নি। সম্প্রতি চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশীয় চা-সংসদ মজুরি ১৪ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়। কিন্তু নেতারা এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা নির্ধারণসহ অন্যান্য দাবি-দাওয়া পূরণের বিষয়ে ১ আগস্ট চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশীয় চা-সংসদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। চিঠিতে দাবি মেনে নিতে সাত দিনের সময়সূচী বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে দাবি না মানায় সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সরেজমিনে বুধবার বেলা ১০টার দিকে দেখা গেছে, জুড়ীর রত্না চা-বাগানের কারখানার সামনে ৭০০-৮০০ শ্রমিক নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, রত্না বাগান শ্রমিক পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সুমন ঘোষ ও এলাপুর ফাঁড়ি বাগান কমিটির সভাপতি চন্দন চাষা। পরে শ্রমিকেরা জুড়ী-বটুলী শুল্ক স্টেশন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তাঁরা বিভিন্ন শ্লোগানও দেন।  

এদিকে কুলাউড়ার লুয়াইউনি-হলিছড়া চা-বাগানের শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে কর্মবিরতি পালন করেন।  

এই রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে চা বাগানে কাজ করে এক লিটার সয়াবিন তেলের দামও পাই না বলে অভিযোগ করেন কুলাউড়ার একটি চা বাগানের শ্রমিক কলতি রবিদাস। তিনি বলেন, সবকিছুর দাম বাড়ে শুধু আমাদের মজুরি বাড়ে না। এই মজুরি না বাড়ার কারণে উপোষ থাকতে হয় প্রায়ই। প্রত্যেকদিন কিছু না কিছুর দাম বাড়ছেই কিন্তু বাড়ে না শুধু আমাদের মতো নিরীহ চা শ্রমিকদের মজুরি।

চা-শ্রমিক ইউনিয়নের জুড়ী ভ্যালি কমিটির সভাপতি কমল চন্দ্র বুনার্জি জানান, তাঁদের আওতাধীন জুড়ী, বড়লেখা ও কুলাউড়া উপজেলার মোট ৩৬টি বাগানে কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবারও (১১ আগস্ট) এ কর্মসূচী চলবে। এরপর সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচী নেওয়া হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন